Nagaland: জঙ্গি সন্দেহে নাগাল্যান্ডে ৭ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যার দায় ইতিমধ্যে চেপেছে অসম রাইফেলসের ঘাড়ে। এই ঘটনার পর বাহিনী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ক্ষমাপ্রার্থনা চাওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের সংযত থাকতে আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী নেফিউ রিও। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু আশঙ্কা সত্যি করেই জনরোষে ভাঙচুর চলেছে মন জেলার অসম রাইফেলস ক্যাম্পে।
উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফের গুলি চালায় বাহিনী। তাতেও আরও এক স্থানীয়ের মৃত্যু হয়েছে এমনটাই সুত্রের খবর। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা রবিবার সকালে জমায়েত হয়ে অসম রাইফেলসের ক্যাম্প পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে। এরপরেই শুরু করে ভাঙচুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাহিনী গুলি চালালে একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নাগাল্যান্ডের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অভিজিৎ সিনহা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, উন্মত্ত জনতা ভাঙচুরের পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তিতে আগুন লাগিয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আধা সামরিক বাহিনী গুলি চালালে, তাতেও একজনের মৃত্যু হয়েছে, গুলিবিদ্ধ এক।‘
শনিবার ঠিক কী হয়েছিল? মর্মান্তিক ঘটনায় অসম রাইফেলসের জঙ্গি বিরোধী অভিযানের বলি ১১ নিরীহ নাগরিক। নাগাল্যান্ডের মন জেলায় আধা সেনার গুলিতে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতের সঠিক সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হলেও জখম আরও কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা ঘিরে চরম ক্ষোভ ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে।সেনার গুলিতে নিরীহ নাগরিকের মৃত্যুতে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফু রিও। ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, শনিবার রাতে নাগাল্যান্ডের মন জেলায় জঙ্গি বিরোধী অভিযানে যায় নিরাপত্তাবাহিনী। ওটিং ও তিরু গ্রামের মধ্যবর্তী একটি এলাকা দিয়ে সেই সময় একটি পিক আপ ভ্যানে চড়ে ফিরছিলেন পেশায় বেশ কয়েকজন দিনমজুর। তাঁদেরই নিষিদ্ধ সংগঠন NSCN (K)-এর জঙ্গি ভেবে ‘ভুল’ করে নিরাপত্তাবাহিনী। নিরপরাধ দিনমজুরদের জঙ্গি ভেবে ‘ভুল’ করে আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে সেনা। এলোপাথাড়ি গুলিতে কমপক্ষে ১১ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে।স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, মৃতের সঠিক সংখ্যা নিয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আহত আরও বেশ কয়েকজনকে নিকটবর্তী অসমের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ওটিং ও তিরু গ্রামের কাছে নিষিদ্ধ সংগঠন NSCN (K)-এর ইয়ং অং গোষ্ঠীর জঙ্গিদের গতিবিধির খবর পায় সেনা। সেই খবরের ভিত্তিতেই নিরাপত্তাকর্মীরা গাড়িটি ঘিরে গুলি চালায়।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন