Advertisment

ঈদের আবহে মোদী-ইমরান একান্ত সাক্ষাৎ?

মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে এসেছেন পাকিস্তানের বিদেশ সচিব সোহেল মাহমুদ। সূত্রের খবর, তিনি ব্যক্তিগত কাজে তিনদিন দিল্লিতে থাকবেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নরেন্দ্র মোদী-ইমরান খান

এক সপ্তাহ পরেই কিরঘিজস্তানের রাজধানী বিসকেকে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ বৈঠক মুখোমুখি হবেন নরেন্দ্র মোদী এবং ইমরান খান। তার ঠিক আগে মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে এসেছেন পাকিস্তানের বিদেশ সচিব সোহেল মাহমুদ। সূত্রের খবর, তিনি ব্যক্তিগত কাজে তিনদিন দিল্লিতে থাকবেন।

মঙ্গলবার পাক বিদেশ সচিব দিল্লির জামা মসজিদে ঈদের প্রার্থনায় অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রদূত সৈয়দ হায়দার শাহ এবং অন্যান্য পাকিস্তানি কূটনীতিকরা। প্রসঙ্গত, মাহমুদ গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসাবে ভারতেই ছিলেন। সূত্রের খবর, তাঁর পরিবার এখনও দিল্লিতেই থাকেন। এবার তাঁরাও মাহমুদের সঙ্গে পাকিস্তানে ফিরে যাবেন।

অন্যদিকে, ইসলামাবাদে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়া ঈদ উপলক্ষ্যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ডক্টর আরিফ আলভির সঙ্গে দেখা করেছেন। উভয়ের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। বিসারিয়া টুইটারে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি এই অঞ্চলের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা ব্যক্ত করেছেন।

এই দুই ঘটনার প্রেক্ষিতে কূটনাতিক মহলের একাংশের আশা, জুনের ১৩-১৪ তারিখে বিসকেকে শীর্ষ বৈঠকের ফাঁকে মোদী এবং ইমরানের আলাদাভাবে কথা সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও ভারত বা পাকিস্তান কেউই এখনও পর্যন্ত এমন কোনও সম্ভাবনার কথা সরকারি ভাবে স্বীকার করেনি। মাহমুদের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের কোনও সম্ভাব্য বৈঠকের কথাও জানা যায়নি।

গত কয়েক বছর যাবত দুই দেশের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অবনতি হয়েছে। বিশেষত পুলওয়ামায় জঙ্গী হামলার পর তা আরও তীব্র রূপ নিয়েছে। মাহমুদের দিল্লি সফর দুই দেশের মধ্যে ফের আলোচনার সম্ভাবনা তুলে ধরলেও পাকিস্তান সম্পর্কে ভারতের কড়া নীতি এখনও পর্যন্ত অপরিবর্তিত রয়েছে। ভারত দাবি করেছে, সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।

নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ ফের দিল্লির মসনদ দখল করার পর ইমরান ফোন করে অভিন্দন জানান প্রধানমন্ত্রীকে। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি উপমাহাদেশের শান্তি, প্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। উত্তরে মোদী জানান, শান্তি, প্রগতি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার পূর্বশর্ত হল, সন্ত্রাস ও হিংসামুক্ত পরিবেশে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা গড়ে তোলা। পুলওয়ামার জঙ্গী হামলা এবং তার প্রত্যুত্তরে বালাকোটে ভারতের বিমান হামলার পর এটাই দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে প্রথম কথপোকথন। ২৩ মে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর ইমরান মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইটও করেন।

যদিও কিরঘিজস্তানের রাজধানীতে আদৌ মোদী-ইমরান একান্ত বৈঠক হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েই গিয়েছে। কারণ, অতি সম্প্রতি ঈইদ উপলক্ষ্যে ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের ইফতার পার্টিতে আমন্ত্রত অতিথিদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে ভারত।

Read the full story in English

Advertisment
PM Narendra Modi pakistan India narendra modi imran khan
Advertisment