Indo-China Border Dispute: চিনকে মোকাবিলায় কোনও রণকৌশল নেই মোদি সরকারের। ইন্দো-চিন সীমান্ত সমস্যায় শুক্রবার এভাবেই খোঁচা দিলেন রাহুল গান্ধি। সাম্প্রতিক পেন্টাগন রিপোর্টে বেজিংয়ের আগ্রাসন নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যদিও বিদেশ মন্ত্রক সেই রিপোর্টের সমালোচনায় সরব। এদিকে, চিনের দখলদারি প্রসঙ্গে সিডিএস এবং বিদেশ মন্ত্রকের অবস্থান ভিন্ন। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন উল্লেখ করে এই অভিযোগ তোলেন রাহুল গান্ধি।
সেই প্রসঙ্গেই কংগ্রেস সাংসদের ট্যুইট, ‘চিনের মোকাবিলায় ভারত সরকারের কাছে কোনও কৌশল নেই। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করা হয়েছে। মিস্টার ৫৬ ইঞ্চি ভয় পেয়েছে। উলটে আমাদের সেনাবাহিনী বুক দিয়ে আগলে সীমান্ত রক্ষা করছেন।‘
পেন্টাগন সম্প্রতি ইউএস কংগ্রেসকে চিনা দখলদারি এবং আগ্রাসন নিয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। সেই রিপোর্টে এলএসি অর্থাৎ ইন্দো-চিন সীমান্ত বরাবর বেজিংয়ের দখলদারির প্রসঙ্গ উল্লেখ আছে। পেন্টাগনের তৈরি রিপোর্টে উল্লেখ, ‘এলএসি বরাবর ধীরে ধীরে কৌশল অবলম্বন করে দাবি চাপানোর চেষ্টা করছে চিন।‘ বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের এই রিপোর্টের সমালোচনা করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। সাপ্তাহিক প্রেস বিবৃতিতে মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘ভারত, তাদের ভূখণ্ডে চিনের অবৈধ দখলদারি মানে না। তাই চিন এই দাবি করলে সেটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।‘ তাঁর মন্তব্য, ‘বহু বছর ধরে এলএসি বরাবর নির্মাণকাজ চালাচ্ছে বেজিং। কিন্তু ভারতীয় ভূখণ্ডে তাদের দখলদারি মানেই না দিল্লি।‘
পেন্টাগনের রিপোর্ট প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিদেশ মন্ত্রকের এই কর্তা বলেছেন, ‘ আমাদের ভূখণ্ডে চিনা উপস্থিতির আপত্তি কুটনৈতিকভাবে বেজিংকে জানানো হয়েছে। আগামি দিনেও সেই ভাবে চিনকে অবগত করা হবে।‘ তাঁর দাবি, ‘এলএসি বরাবর ভারত নির্মাণকাজ শুরু করেছে। তৈরি হচ্ছে সেতু, সড়ক। এই পরিকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন হলে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সীমান্তের নাগরিকদের যোগাযোগ আরও বাড়বে।‘
এদিকে, তালিবান জমানায় আফগান পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আঞ্চলিক পরিষদের বৈঠক হল নয়া দিল্লিতে। ভারতের নেতৃত্বে হওয়া এই বৈঠকে অনুপস্থিত চিন এবং পাকিস্তান। কিন্তু মধ্য এশিয়ায় শান্তি রক্ষার তাগিদে উপস্থিত ছিল ৭টি দেশ। ইরান, রাশিয়া, উজবেকিস্তান, কাজাখস্থান, তাজিকিস্থান, কিরঘিজস্থান এবং তুর্কমেনিস্থানের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এই বৈঠকে পৌরহিত্য করেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন