ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়, অনেক বিপ্লবী সাহিত্য ব্রিটিশরা নিষিদ্ধ করেছিল। কারণ, এগুলো ভারতে তাদের শাসনের 'নিরাপত্তা'র পক্ষে 'বিপজ্জনক' হয়ে উঠেছিল। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে সরকার এখন সাহিত্যের এই অংশ পুনরায় তুলে ধরছে। পরাধীন ভারতের সেই লেখাগুলোকে জনপ্রিয় করার জন্য অনেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও কাজে লাগানো হয়েছে।
'স্বাধীন স্বর' নামে অমৃত মহোৎসব ওয়েবসাইটের একটি অংশে বাংলা, গুজরাতি, হিন্দি, কন্নড়, মারাঠি, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, তামিল, তেলেগু এবং উর্দু ভাষায় ১৯৪৭ সালের আগে লেখা কবিতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। সংস্কৃতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডভিয়ার মত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের আলাদা ভাষায় আবৃত্তি করা ন'টি নিষিদ্ধ কবিতার ভিডিও করা হয়েছে।
এরমধ্যে অনুরাগ ঠাকুর 'আজাদি কি বাঁশুরি' বই থেকে হিন্দি কবিতা 'রাষ্ট্রীয় পতাকা' আবৃত্তি করেছেন। জি কিষাণ রেড্ডি ভাদ্দাধি সীতারামঞ্জনেউলু এবং পুদিপেধি কাশী বিশ্বনাথ ষষ্ঠীর তেলেগু কবিতা 'ভারত মাথা গীথাম' আবৃত্তি করেন। ধর্মেন্দ্র প্রধান আবার ওড়িয়া কবি গঙ্গাধর মিশ্রের 'দরিদ্রা নিয়ান' আবৃত্তি করেছেন। মনসুখ ভাই মান্দাভিয়া কবি ঝাভেরচাঁদ মেঘানির সিন্ধুডো বই থেকে গুজরাটি কবিতা 'কাসুম্বি নো রং' আবৃত্তি করেছেন।
আরও পড়ুন- মেঘভাঙা নয়, প্রবল বৃষ্টিতেই হড়পা বানে ভেসেছে অমরনাথ, দাবি আবহাওয়া দফতরের
সংস্কৃতি মন্ত্রক, 75-সপ্তাহ-ব্যাপী এই অমৃত মহোৎসবে ব্রিটিশ রাজের নিষিদ্ধ করা কবিতা, লেখা এবং প্রকাশনাগুলোকে চিহ্নিত করেছে। সেই সব লেখাকে ক্যাটালগ আকারে একত্রিত করেছে। যা ন্যাশনাল আর্কাইভসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। নয়টি আঞ্চলিক ভাষা- বাংলা, গুজরাতি, হিন্দি, মারাঠি, কন্নড়, ওড়িয়া, পঞ্জাবি, সিন্ধি, তেলেগু, তামিল এবং উর্দু ভাষায় এই লেখাগুলো প্রকাশিত হয়েছে।
এগুলো বেশিরভাগই ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় লেখা। বিপ্লবীদের লেখা এবং ভারতে ব্রিটিশ শাসনের 'নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক' বলে বিবেচিত হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিসচিব গোবিন্দ মোহন এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের ৬৬ সপ্তাহে, ৪৭ হাজারেরও বেশি অনুষ্ঠান হয়েছে। এই সব অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়কদের স্মরণ করা থেকে শুরু করে ইতিহাসের নথিপত্র Lgns দেখা, রাজ্যভিত্তিক আন্দোলন স্মরণ করা, স্বাধীনতা সংগ্রামে নিষিদ্ধ কবিতার অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।'
Read full story in English