রামনবমীতে দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। আশান্তি ছড়িয়েছে বাংলার শিবপুর ও রিষড়ায়। বিজেপি সহ হিন্দুত্ববাদী দলগুলো হিংসার জন্য প্ররোচনাকে দায়ী করেছে। পাল্টা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় শাসক দল ও হিন্দুত্ববাদীদের উস্কানিকেই দায়ী করেছে বিজেপি বিরোধী দলগুলো। যা নিয়ে রাজনীতি তপ্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তী। রামনবমীর ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে তৎপর কেন্দ্র। হনুমান জয়ন্তীর দিন সর্বত্র আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে, উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালন নিশ্চিত করতে এবং সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করতে পারে এমন যে কোনও কারণের উপর নজরদারি চালানোর জন্য সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চগুলোর কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কার্যালয়ের তরফে এ দিন টুইট করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ, "রাজ্য/কেন্দ্র শাসিত এলাকার সরকারগুলিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষণাবেক্ষণ, উৎসবের শান্তিপূর্ণ পালন, এবং সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করতে পারে এমন যে কোনও কারণের উপর নজরদারি নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।"
এ বছর ৬ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তী উদযাপন হবে।
বুধবার হনুমান জয়ন্তীর অনুমতি সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দিয়েছে। বাংলায় যে সব এলাকায় ওই দিন অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এনমকী হনুমান জয়ন্তীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কেন্দ্রের কাছে রাজ্যকে আধা সামরিক বাহিনী চাওয়ার কথা বলেছে আদালত। বলা হয়েছে, রাজ্য চাইলে বাহিনী দিতেই হবে কেন্দ্রকে।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'ধর্ম যার যার উৎসব সবার। হনুমান জয়ন্তী সকলে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করুন। বামলা শান্তিপ্রিয় জায়গা। কোনও হিংসা হানাহানি পছন্দ করে না।' উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে দু'দিন আগেই রামনবমীর মিছিল থেকে হিংসার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছিলেন। হনুমান জয়ন্তীতে ফের অশান্তির চেষ্টা হবে বলে সতর্ক করেছিলেন তিনি।