Union Public Service Commission (UPSC)-এর পরীক্ষা ছাড়াই যুগ্ম সচিব বা সচিবের মত উচ্চপদে আমলা নিয়োগের প্রক্রিয়া চালু করার কথা বলেছে মোদী সরকার। এবং প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে চটেছেন বিরোধীরা। কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতা তেজস্বী যাদব এদিন টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।
তেজস্বী Department of Personnel and Training-এর জারি করা বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন এই ‘মনুবাদী’ সরকার UPSC-কে ছোট করতে চাইছে। তিনি আরও বলেন, সরকারের এই উদ্যগ সম্পূর্ণভাবে এদেশের সংবিধান এবং সংরক্ষণ নীতির বিরোধী। নিখাদ ব্যাঙ্গের সুরেই তিনি বলেন, আজ মোদী সরকার UPSC ছাড়া 'বাবু' নিয়োগ করছে, কাল হয়ত প্রধানমন্ত্রী এবং গোটা মন্ত্রীসভাই বিনা নির্বাচনে তৈরি হয়ে যাবে। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার এদেশের গঠনতন্ত্রকেই প্রহসনে পরিণত করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
यह मनुवादी सरकार UPSC को दरकिनार कर बिना परीक्षा के नीतिगत व संयुक्त सचिव के महत्वपूर्ण पदों पर मनपसंद व्यक्तियों को कैसे नियुक्त कर सकती है? यह संविधान और आरक्षण का घोर उल्लंघन है।
कल को ये बिना चुनाव के प्रधानमंत्री और कैबिनेट बना लेंगे। इन्होंने संविधान का मजाक बना दिया है। pic.twitter.com/8shIHodMew
— Tejashwi Yadav (@yadavtejashwi) June 10, 2018
Why are time-tested UPSC and SSC being sought to be undermined? To fill IAS ranks with Sanghis and undermine reservation too, in the BJP's last few months in office. pic.twitter.com/J26fl5BFYO
— Sitaram Yechury (@SitaramYechury) June 10, 2018
সম্প্রতি দেশের সমস্ত মুখ্য সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে 'প্রতিভাবান এবং উৎসাহী', সরকারি এবং বেসরকারি চাকুরিরতদের কাছ থেকে মোট দশটি উচ্চ আমলা পদের জন্য দরখাস্তের আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। এই বিজ্ঞাপন অনুযায়ী অর্থ এবং রাজস্ব, কৃষি, সড়ক ও পরিবহন, এবং বিমান ও জাহাজ মন্ত্রকে সচিব পদের জন্য সরকার দশজন যোগ্য ব্যক্তির খোঁজে রয়েছে। তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগ করা হবে এই আমলাদের, যা পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: Uttar Pradesh: শিশুমৃত্যুতে সাসপেন্ডেড চিকিৎসক কাফিল খানের ভাই গুলিবিদ্ধ
প্রসঙ্গত, যুগ্ম সচিব সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ পদ, এবং এই পদে নিযুক্তরা সরকারের কর্মপন্থা নির্ধারণ এবং তার বাস্তবায়নে সাহায্য করেন। পদাধিকারীরা বাধ্যতই আইপিএস এবং আইএএস অফিসার হয়ে থাকেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী চল্লিশ বছরের বেশী বয়সীরা এই পদের জন্য আবেদন করতে পারেন।তবে নির্দিষ্ট বিভাগে অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা জরুরী। শিক্ষাগত যোগ্যতা এক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দেবে।
সাম্প্রতিক সরকারি বিজ্ঞাপন অনুযায়ী, আবেদনকারীদের বেতন হবে যুগ্ম সচিবদের সমান। বেতনের পরিমান মাসে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার থেকে ২ লক্ষ ১৮ হাজার পর্যন্ত হতে পারে। শুধু তাই নয়, তাঁরা সরকারি সবরকম সুযোগ-সুবিধাও পাবেন। সিসিএসের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক প্রার্থীকেই 'জনগণের স্বার্থে' কাজ করতে হবে। এও বলা আছে সরকার এবং প্রার্থী, দুতরফ থেকেই চুক্তি তিনমাসের নোটিশে বাতিল হতে পারে।
সিলেকশন কমিটির তরফ থেকে পদের জন্য আবেদনকারী প্রার্থীরা শর্টলিস্টেড হলে তাঁদের ইন্টারভিউয়ে তলব করা হবে। আবেদন জানানোর শেষ তারিখ ৩০ জুলাই।