রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন সহ গান্ধী পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত তিন ট্রাস্টের বিরুদ্ধে এবার তদন্ত হবে। এই জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইতিমধ্যেই একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে। মূলত আর্থিক তছরুপ ও বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগেই এই তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
যে তিনটি ট্রাস্টের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে, সেগুলি হল রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন, রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট।
তদন্তকারী আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন ইডি-র স্পেশাল ডিরেক্টর।
দিন কয়েক আগেই বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে চিনা আর্থিক সহায়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। টুইটে নাড্ডা লিখেছিলেন, 'প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে ইউপিএ জমানায় রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল বোর্ডের শীর্ষে তখন কে বসেছিলেন? সনিয়া গান্ধী। রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের সভাপতিত্ব কে করেন? সনিয়া গান্ধী। এটা চূড়ান্ত ভাবে নিন্দনীয় এবং গোটা বিষয়টির স্বচ্ছতা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন রয়েছে।' এরপরই গান্ধী পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত তিন ট্রাস্টের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার।
সীমান্ত সঙ্ঘাতের আবহেই টেলিকম মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে চিনা আর্থিক অনুদান নিয়ে সরব হন। তিনি বলেছিলেন, '২০০৫-০৬ সালে ফাউন্ডেশনের বার্ষিক তালিকায় দেখা যাচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের দূতাবাস থেকে অনুদান নেওয়া হয়েছে। জানতে চাই, কেন তা গ্রহণ করা হল?'
রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের ২০০৫-০৬ সালের বার্ষিক রিপোর্টে চিনা দূতাবাসকে 'অন্যতম অংশীদার ও দাতা' বলে সম্বোধন করা হয়েছে। রাজীব গান্ধী ইন্সটিটিউট অফ কন্টেমপোরারি স্টাডিজকে চিনা দূতাবাস থেকে সাহায্য করা হয়েছিল বলে দেখা যাচ্ছে। এই সংস্থার নীতি প্রনয়ণ করে থাকে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন। এছাড়াও সাহায্য করার তালিকায় নাম রয়েছে, ইউরোপীয় কমিশন, আয়ারল্যান্ড সরকার, রাষ্ট্রপুঞ্জের উন্নয়ন প্রকল্পের।
রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের প্রধান কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। ফাউন্ডেশনের বোর্ডের সদস্যরা হলেন মনমোহন সিং, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভঢরা, পি চিদাম্বরম ও মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন