'একটা বড় অংশের পরিযায়ী ভেবেছিলেন তাঁদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন জল, খাবার, স্বাস্থ্য, আশ্রয়ের কী হবে। সেই ভয়েই হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।'
করোনা লকডাউনের মধ্যে ভুয়ো খবরের জন্যই আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত হেঁটে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। সংসদে এমনটাই দাবি করল কেন্দ্র। এছাড়াও বলা হয়েছে যে, বিশ্বে কোভিড সংক্রমণ বিস্তারের অভিজ্ঞতার নিরিখেই মাত্র চার ঘন্টার বিজ্ঞপ্তিতেই ২৪ মার্চ দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছিল।
Advertisment
লকডাউন ঘোষণার আগে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কী পদক্ষেপ করেছিল মোদী সরকার। কেন লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে চরম দুর্দশায় পড়তে হয়েছে ও তাঁরা হেঁটে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়েছিলেন? সংসদে লিখিত প্রশ্ন করেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়।
জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, 'লকডাউন ঘোষণার পরেই ভুয়ো খবরের কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ ভেবেছিলেন তাঁদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন জল, খাবার, স্বাস্থ্য, আশ্রয়ের কী হবে। সেই ভয়েই হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।'
তবে, লকডাউনে সবাই যাতে জীবন ধারণের ন্যূনতম সামগ্রী পান তার জন্য সজাগ ও সচেতন ছিল কেন্দ্র। সংসদে জানিয়েছেন মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তিনি বলেন, 'অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন ছিল। তাই লকডাউনের মধ্যে সবার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছিল। খাবার, পানীয় জল, স্বাস্থ্যের মতো জরুরি পরিষেবা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা হয়নি।'
কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি সরকারের কাছে জানতে চান, কেন মাত্র চার ঘন্টার বিজ্ঞপ্তিতে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হল?
এর উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লিখিতভাবে জানিয়েছেন, 'বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ দ্রুতহারে বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গেই প্রতিরোধমূলক একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছিল। যেমন, আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ, জনপ্রতিনিধিদের অ্যাডভাইজরি, কোয়ারেন্টিন সেন্টার সুযোগ-সুবিধা।' তাঁর সংযোজন, '১১ মার্চ হু করোনা সংক্রমণকে অতিমারী বলে ঘোষণা করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সামাজিক দূরত্ব বিধি কঠোরভাবে পালনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাই বাস্তবতা বিবেচনা করেই ২৪ মার্চ রাতে লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছিল।'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেছেন, ১৬-২৩ মার্চের মধ্যে পরিস্থিতি বিবেচনা করে অধিকাশ রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলই আংশিক বা সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করেছিল।
দ্রুত ও কঠোর লকডাউন ঘোষণার কারণেই ভারতব্যাপী করোনা সংক্রমণের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী