সম্পর্কের শীতলতা এমনই, যে কিরঘিজস্থানের রাজধানী শহরে নৈশভোজের আসরে দেখা হল, কিন্তু কুশল বিনিময় পর্যন্ত হল না প্রতিবেশী দু'দেশের মুখ্যমন্ত্রীর। নরেন্দ্র মোদী এবং ইমরান খান। দেখা হয়েছিল সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সামিটের মঞ্চে। বিশকেকের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁয় দেখা হলেও কথা হল না দুই রাষ্ট্রপ্রধানের।
সূত্রের খবর বলছে, নৈশভোজের পর করসার্টেও সামনের সারিতেই বসেছিলেন মোদী এবং ইমরান দুজনেই। শুধু তাঁদের মাঝে ছিলেন অন্তত সাত দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।
বছর দুয়েক আগেও দু' দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সমীকরণটা ছিল অন্যরকম। জুন'২০১৭ তে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে এসসিও সামিট মঞ্চে দেখা হয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর। কুশল বিনিময় হয়েছিল দু'জনের মধ্যে। শরিফের সুস্বাস্থ্য কামনা করে পরিবারের খবরাখবরও নিয়েছিলেন মোদী।
আরও পড়ুন, মোদীর আমন্ত্রণে এবছর ভারতে আসছেন শি জিনপিং
বিশকেকের উদ্দেশে রওনা হবার আগে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রুশ সংবাদসংস্থা স্পুটনিককে বলেন ভারত-পাক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। এত খারাপ আগে কখনও হয়নি। তবে আমরা আশা করছি, ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দু'দেশের সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করবেন এবং কাশ্মীর ইস্যু সমাধানের পথে এগোবেন।
মোদীর সঙ্গে আলোচনায় তিনি প্রস্তুত কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে খান বলেন, "সেই ইঙ্গিত আমরা ভারতের নতুন লোকসভা গঠন হওয়ার পরপরই দিয়েছি। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগেই আমরা সেই চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পারিনি। মোদীর দল দেশের মানুষের মধ্যে ইসলাম বিরোধী মনোভাব জাগিয়ে তুলেছিল"।
Read the full story in English