চন্দ্রযান-৩ যে জায়গাটি চাঁদে অবতরণ করেছে তার নাম হবে 'শিবশক্তি পয়েন্ট', বিরাট ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গ্রিস থেকে সোজা বেঙ্গালুরুতে পৌঁছান মোদী। নেমেই সোজা ইসরোর দফতরে পা রাখেন নমো। সেখানে পৌঁছেই দিলেন 'জয় জওয়ান, জয় বিজ্ঞান', 'জয় অনুসন্ধান' স্লোগান। পাশাপাশি চন্দ্রযান-২ যে জায়গায় তার পায়ের ছাপ ফেলেছিল সেই জায়গার নাম হবে ‘তিরঙ্গা পয়েন্ট’ ঘোষণা করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'এই ‘তেরঙা পয়েন্ট’ ভারতের প্রতিটি প্রচেষ্টার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে, এই ‘তেরঙা পয়েন্ট’ আমাদের শেখাবে কোনো ব্যর্থতাই চূড়ান্ত নয়।'
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিদেশ সফর থেকে ফিরে সরাসরি বেঙ্গালুরু পৌঁছেছেন। চন্দ্রযান-৩ মিশনে জড়িত ইসরো দলের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করতে তিনি বেঙ্গালুরু এসেছেন মোদী। পিঠ চাপড়ে ইসরো প্রধান এস সোমনাথকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন বেঙ্গালুরুতে বলেছেন যে ‘আজ আমি এখানে যে দৃশ্য দেখছি, আমি গ্রিস, জোহানেসবার্গেও সেই একই দৃশ্য দেখেছি। বিশ্বের প্রতিটি কোণে, শুধু ভারতীয়রাই নয়, যারা বিজ্ঞানে বিশ্বাসী, মানবতার জন্য নিবেদিত, তারা সবাই উৎসাহে ভরপুর’।
উল্লেখ্য মহাকাশে ৪০ দিনের যাত্রা শেষে, চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার 'বিক্রম' বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের ‘অজানা’ দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে। ভারত বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এই সাফল্য অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী, যিনি চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণের লাইভ টেলিকাস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অনলাইনে যোগ দিয়েছিলেন, আজ ইসরো বিজ্ঞানীদের সাথে দেখা করতে এবং অভিনন্দন জানাতে সোজা ইসরোর দফতরে পৌঁছেছেন। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ বলেছিলেন যে 'আমি ইসরো বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলাপচারিতার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি যারা চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যে ভারতকে গর্বিত করেছে’।
বেঙ্গালুরুর পরে, দিল্লি বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘গ্র্যান্ড অভ্যর্থনা’ জানানোর প্রস্তুতি চলছে। মোদী সকাল ১১ টায় দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন, তাকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। ১০ হাজারের বেশি বিজেপি কর্মী প্রধানমন্ত্রী মোদী অভ্যর্থনা জানাতে পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
২৩ আগস্ট ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’ হিসেবে পালিত হবে
প্রধানমন্ত্রী মোদি ISRO কেন্দ্রে বিজ্ঞানীদের সংবর্ধনা জানিয়ে বলেন, ২৩ আগস্ট, যখন ভারত চাঁদে তেরঙ্গা উত্তোলন করে ইতিহাস গড়েছে, সেই দিনটি এখন থেকে ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’ হিসাবে পালিত হবে। মঙ্গলযানের সাফল্য, চন্দ্রযানের সাফল্য, গগনযানের প্রস্তুতি দেশের তরুণ প্রজন্মকে নতুন উৎসাহ দিয়েছে। আজ, বাণিজ্য থেকে প্রযুক্তি, ভারত 'তৃতীয় সারি' থেকে 'প্রথম সারিতে' উঠে এসেছে তাতে 'ইস-রো'-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বিরাট ভূমিকা পালন করেছে’। ISRO কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘চন্দ্রযান-৩-এ আমাদের মহিলা বিজ্ঞানী এবং দেশের নারী শক্তি বড় ভূমিকা পালন করেছে। চন্দ্রের 'শিবশক্তি' বিন্দু শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারতের এই বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক চিন্তাধারার সাক্ষী থাকবে’।