/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/05/modi_nepal.jpg)
নেপালের লুম্বিনী বিশ্ববাসীকে উপহার দিয়েছে গৌতম বুদ্ধকে। সেই লুম্বিনীতেই তাঁর এবারের বুদ্ধজয়ন্তী পালন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাহাড়ের কোলের দেশ নেপাল। একটা সময় নেপাল বিশ্বের একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র ছিল। মাওবাদীদের উত্থানের আগে অবধি নেপালই ছিল ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। শুধু তাই নয়। নেপালের মতো ভারতেও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বহু মানুষের বসবাস। নেপালের মতো ভারতেও বৌদ্ধদের একাধিক তীর্থক্ষেত্র রয়েছে। শুধু তাই নয়, নেপালের গোর্খা সম্প্রদায়ের নামে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে রেজিমেন্ট আছে। এসব কথা মাথায় রেখেই এবারের বুদ্ধজয়ন্তী নেপালে কাটালেন প্রধানমন্ত্রী।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার সঙ্গে সেখানে লুম্বিনীতে বৈঠকও করলেন প্রধানমন্ত্রী। 'ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর বুদ্ধিস্ট কালচার অ্যান্ড হেরিটেজ'-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। বুদ্ধজয়ন্তীর দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই কার্যকলাপে বিশেষ বার্তা পৌঁছে গেল চিন, জাপান, কোরিয়া, থাইল্যান্ড, বার্মা থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন বৌদ্ধপ্রধান দেশগুলোয়। যার সূত্র ধরে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, 'ভারত ও নেপাল, এই দুই দেশের চলমান সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর। আমাদের বহুমুখী অংশীদারিত্বের ক্ষেত্র বিকাশের নতুন সুযোগ আসতে চলেছে।' লুম্বিনীর বৌদ্ধতীর্থ মায়াদেবী মন্দিরেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মোদী। টুইটে তিনি নিজেই সেই কথা জানিয়েছেন। মোদী টুইট করেছেন, 'বুদ্ধপূর্ণিমায় মায়া দেবী মন্দিরে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।'
আরও পড়ুন- তাজমহলের বন্ধ দরজার পিছনে কী লুকিয়ে আছে? ছবি প্রকাশ্যে আনল ASI
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লুম্বিনীতে স্বাগত জানান নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা। লুম্বিনীতেই মোদী বলেন, 'ভারত এবং নেপালের সম্পর্ক হিমালয়ের মত দৃঢ়।' বোঝানোর চেষ্টা করেন, কোনও ঝড়-ঝাপটাই ভারত আর নেপালের সম্পর্ককে কখনও বিঘ্নিত করতে পারবে না। মোদীর কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন উপস্থিত নেপালের শ্রোতারা। ভাষণ শোনার পর তাঁদের অনেকের চোখের কোণেই জল দেখা গিয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, 'ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর বুদ্ধিস্ট কালচার অ্যান্ড হেরিটেজ' তৈরিতে ১০০ কোটি টাকা খরচ হবে। আমেরিকা, ইউরোপ থেকে এশিয়া, আফ্রিকা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশের বৌদ্ধদের কাছে এই হেরিটেজ সেন্টার বৌদ্ধ আদর্শ চর্চার অন্যতম কেন্দ্রভূমি হয়ে উঠবে। এমনটাই আশা করছে বিদেশ মন্ত্রক।
Read full story in English