যে মিউনিখে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জি৭ গোষ্ঠীর পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত গোটা দুনিয়া। সেই মিউনিখেই ভারতে ইন্দিরা গান্ধীর জমানায় জারি জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে বিতর্ক উসকে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অতীতেও তিনি দেশের বাইরে গিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। এখানেও তার ব্যতিক্রম হল না বলেই অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।
রবিবার মিউনিখে অনাবাসী ভারতীয়দের সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে ঘিরে অনুষ্ঠানস্থলে অনাবাসী ভারতীয়দের মধ্যে ছিল ব্যাপক উচ্ছ্বাস। সেখানে মোদী প্রথমে বলেন গণতন্ত্রের কথা। তিনি বলেন, 'আমরা গর্বিত যে ভারত গোটা বিশ্বের গণতন্ত্রের কাছে মায়ের ভূমিকা পালন করছে। সংস্কৃতি, খাদ্য, সংগীত, প্রথার বৈচিত্র্যেও যে গণতন্ত্র ধরে রাখা যায়, ভারত তা দেখিয়ে দিয়েছে।'
আরও পড়ুন- G-7 বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধকে প্রাধান্য, রাশিয়া থেকে সোনা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি
এরপরই তিনি চলে আসেন জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গে। মোদী বলেন, '৪৭ বছর আগে এই গণতন্ত্রকে বন্দি বানানো আর ধ্বংস করার একটা চেষ্টা হয়েছিল। জরুরি অবস্থা স্পন্দনশীল ভারতীয় গণতন্ত্রের জন্য একটা কালো অধ্যায়।' তাঁর এই বক্তব্যের লক্ষ্য যে কংগ্রেস, সেটা বুঝতে অবশ্য কারও অসুবিধা হয়নি। শনিবার ছিল ২৫ জুন। ১৯৭৫ সালের এই দিনেই ভারতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। যা প্রত্যাহার হয়েছিল দুই বছর পর, ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ।
মিউনিখের অডি ডোম ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রবিবার মোদীর এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ঘুরে ফিরে এসেছে গণতন্ত্র। যে গণতন্ত্র ইউক্রেন থেকে হরণের চেষ্টার অভিযোগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে রবিবার সুর চড়িয়েছে জি৭ গোষ্ঠীর নেতৃত্ব। সেই মিউনিখের ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে রবিবার মোদী তুলে আনেন গণতন্ত্রের প্রসঙ্গ। তিনি জানান, ভারত আর ভারতবাসীর মধ্যেই রয়েছে গণতন্ত্রের বীজ বা ডিএনএ।
এর আগে রবিবার সকালেই মিউনিখ পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে লাল কার্পেট পেতে স্বাগত জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীও জানান, তিনি বিভিন্ন অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই মুখিয়ে ছিলেন। জি৭ বৈঠকের নেতৃত্বে রয়েছে জার্মানি। সেই জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজই ভারতকে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, জি৭ বৈঠকের পাশাপাশি আলাদা করে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবারের পাশাপাশি বৈঠক সোমবারও চলবে।
Read full story in English