নরেন্দ্র মোদীর সিংহাসন দখলের পর থেকে তাঁর পোশাকের প্রতি নজর বাড়ে দেশবাসীর। জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাঁর পরনের কোট। ব্র্যান্ডেও পরিণত হয় সেই কোট। তবে তাঁর কোট যে খুব নতুন কিছু ছিল এমনটা একেবারেই নয়। মোদীর উত্থানের আগে অবধি তার পরিচয় ছিল 'জহর কোট' নামে। ইদানিং এর চাহিদা ভারতীয় পোশাক বাজারেও যথেষ্ট বেশি। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জি টুইটারের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, কারণ মুন জি কে মোদীর তরফে উপহার হিসাবে পাঠানো হয়েছে গোটা চারেক মোদি কোট।
প্রেসিডেন্ট মুন জি একটি পরে বাকি কোট গুলোর সঙ্গে ছবি তুলে নরেন্দ্র মোদীকে ট্যাগ করে জানিয়েছেন "ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমাকে কিছু চমৎকার পোশাক পাঠিয়েছেন। এইগুলি 'মোদি ভেস্ট' নামে পরিচিত, যা ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাকের আধুনিক সংস্করণ, যা কোরিয়াতেও সহজে পরিধান করা যেতে পারে। সমস্ত কোট তারই মাপের।"
ভারত সফরের কথা স্মরণ করে জেই-ইন লিখেছেন, "ভারত সফরকালে আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলেছিলাম যে তাঁর কোটটি সুন্দর। তিনি টেলারদের পাঠিয়েছিলেন, যাঁরা নরেন্দ্র মোদীর কোট বানান, তাঁরাই আমার আকার অনুযায়ী যথোপযুক্ত কোটগুলি বানিয়ে দিয়েছেন। এই ধরনের অমায়িক আচরণের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।" এখানেই বাঁধে গন্ডগোল। যে পোশাকটি আদতে মোদী কোট নয়, কিন্তু বাইরের দেশে পরিচয় দেওয়া হচ্ছে ওই নামেই, তারই ঘোর বিরোধীতা করেন নেটিজেনরা।
তবে এতেই শেষ নয়, অনেকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সংশোধন করে টুইটের মাধ্যমেই জানিয়েছেন এটি মোদি কোট নয়, এই পোশাকটির পরিচিতি ভারতে মূলত জহর কোট নামে। তারপরই ধারাবাহিক ভাবে বন্যা বয়ে যায় টুইটের।
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহও এতে যোগ দেন। "এটা পাঠিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সত্যিই ভালো কাজ করেছেন, কিন্তু নাম বদলে তিনি পাঠাতে পারতেন না? এই জ্যাকেটগুলি নেহরু জ্যাকেট হিসেবে পরিচিত ভারতে। বর্তমানে তাঁর গায়ে দেখে আমরা এইগুলিকে 'মোদি জ্যাকেট' বলে চিহ্নিত করেছি। স্পষ্টতই ২০১৪ এর আগে ভারতে এর জনপ্রিয়তা কিছুই ছিল না।"
Read the full story in English