সীমান্তে উত্তেজনার বিরাম নেই। সেই আবহেই একসপ্তাহের মধ্যে ফের একই মঞ্চে দেখা যাবে মোদী-জিনপিং-কে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে আজ ১২তম ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে থাকার কথা চিনা প্রেসিডেন্টেরও। এর আগে ১০ নভেম্বর সাংহাই কোয়াপরেশন অর্গানাইজেশনের ভার্চুয়াল সম্মেলনে মোদী-জিনপিং-কে দেখা গিয়েছিল। সেখানেই নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছিলেন, 'ভারতের বিশ্বাস, একে অপরের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান জানিয়ে যোগাযোগের ক্ষেত্র আরও বৃদ্ধি করার পথে এগিয়ে যেতে হবে।'
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই সম্মেলনে বিশ্ব শান্তি, নিরাপত্তা এবং উদ্ভাবনী বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হবে৷ ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বৈঠকে অংশ নেবেন৷ রাষ্ট্রসংঘের ৭৫ বছর পূর্তির পটভূমি এবং করোনা মহামারীর মধ্যেই ব্রিকস সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সম্মেলনে বিশ্বের প্রেক্ষাপটে ব্রিকস-এর সদস্য দেশগুলির মধ্যে যোগাযোগ, সর্বোপরী করোনা মহামারীর সম্ভাব্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে বলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে৷ একই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া, সুরক্ষা ব্যবসা, স্বাস্থ্য, শক্তি এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হবে৷
১২তম ব্রিকস সম্মেলনে ভারতও সভাপতিত্ব করবে৷ এই নিয়ে ব্রিকস-এর সম্মেলনে ভারতের তৃতীয়বার সভাপতিত্ব করার সুযোগ হতে চলেছে৷ এর আগে ২০১২ এবং ২০১৬ সালে ভারত ব্রিকস সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেছিল৷ আগামী ২০২১ ব্রিকস সম্মেলনেও ভারত সভাপতিত্ব করবে বলে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে৷
এদিকে এদিনের বৈঠকের পর ২১ ও ২২ নভেম্বর গ্রুপ অফ ২০ বা জি-২০-এর বৈঠক রয়েছে৷ বিশ্বের ২০টি তাবড় দেশ জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত। ভারত ও চিন-ও এই গোষ্ঠীর সদস্য়৷ এএই সম্মেলনে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সুযোগ না পেলেও একই সময়ে তাঁদের একসঙ্গে উপস্থিতির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন