Momo Challenge in West Bengal: ফের মোমো আতঙ্ক। এবার ঘটনাস্থল কার্শিয়াং। সেন্ট মেরি হিল এলাকায় দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। গত শনিবার সন্ধে নাগাদ বের হয় বছর ১৮-র মণীশ। রাতে বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজ শুরু করে বাড়ির লোক। এরপর মাঝরাতে বাড়ির কাছে একটি খামার বাড়ি থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহ উদ্ধারের সময় পরিবার এবং পুলিশের চোখে পড়ে বেশ কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা। খামার বাড়ির দেওয়ালে লেখা ছিল বেশ কিছু দুর্বোধ্য বার্তা, দেওয়ালে লেখা গেমের খুঁটিনাটি বর্ণনা, আঁকা ছিল ডেভিলস আই।
মোমো গেম খেলতে গিয়েই এই মৃত্যু বলে অনুমান পুলিশের। বেশ কয়েক বছর ধরেই ভিডিও গেমে নেশা পেয়ে বসেছিল মণীশকে, এমনটাই দাবি মণীশের পরিবারের। তবে মণীশ মোমো চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল কিনা, তা সঠিক ভাবে বলতে পারেননি তার পরিবারর লোক বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে মোমো চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সম্ভাবনাও।
আরও পড়ুন: মোমো চ্যালেঞ্জ গেমের হানা জলপাইগুড়িতে, জারি সতর্কবার্তা
ব্লু হোয়েলের পর স্যোশাল সাইটে এই নয়া ত্রাস মোমো চ্যালেঞ্জ। যদিও এই গেমের উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মূলত ফোন থেকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতেই এই ফাঁদ পাতা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরে বেড়ানো এই লিঙ্কে কৌতূহলবশত ক্লিক করলে মোবাইলে স্পাইওয়্যার ইনস্টলড হচ্ছে। এর ফলে মোবাইলের উপরে নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যাচ্ছে গেমের অ্যাডমিন। ফলে, কেউ মোবাইল নিয়ে কোথায় যাচ্ছে বা কার সঙ্গে কী কথা বলছে এবং অন্যান্য সব তথ্যই চলে যাচ্ছে আড়ালে থাকা মোমোর কাছে। তার পরে শুরু হচ্ছে ব্ল্যাকমেল করা। তবে এই বিষয় নিয়ে তৎপর হয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে সতর্কবার্তাও জারি করেছে তারা।