সোনিয়া গান্ধীর জামাই রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত অনাবাসী ভারতীয় ব্যবসায়ী সি সি থাম্পিকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। সোমবার তদন্তকারী সংস্থার তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। দুবাইয়ের ‘স্কাই লাইট এফজেডই’সংস্থার কার্ণধার হলেন থাম্পি।
২০০৯ সালে এক বেসরকারি সংস্থার থেকে লন্ডনের একটি সম্পত্তি কেনেন ফেরার অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারির সংস্থা স্যানটেক ইন্টারন্যাশনাল এফজেডসি। আগে যে সম্পত্তি স্কাই লাইটের অধীনে ছিল। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, লন্ডনের এই সম্পত্তি তিনি বেআইনিভাবে অধিগ্রহণ করেন। এবং তা নিয়ে ভান্ডারি ও রবার্টের মধ্যে বেশ কিছু ইমেল চালাচালিও হয়েছে। ইডি দাবি করেছে, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর এক সঙ্গীর মাধ্যমে বঢরার সঙ্গে দেখা করেন থাম্পি। যদিও রবার্টের দাবি, কয়েক বছর আগে এমিরেটসের এক বিমানেই থাম্পির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রবার্ট বঢরাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি
জানা যায়, এর আগে ইডির জেরায় থাম্পি বলেছিলেন, লন্ডনের ব্রায়নস্টন স্কোয়ারের বাড়িতেই থাকেতন রবার্ট। যদিও, তদন্তকারী সংস্থার কাছে থাম্পির সেই দাবি নস্যাত করেন রবার্ট বঢরা। অবশ্য, থাম্পির গ্রেফতার নিয়ে মুখ খুলতে চাননি বঢরার আইনজীবী কে টি এস তুলসী। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে তিনি বিষয়টিকে 'বিচারাধীন' বলে এড়িয়ে গিয়েছেন।
২০০৭ সালে গঠিত সংস্থা স্যানটেক ইন্টারন্যাশনাল এফজেডিসি। ওএনজিসির কাছ থেকে চুক্তি পাওয়ার জন্য ব্যবসায়ী ভাণ্ডারীর কাছ থেকে প্রাপ্ত ৪.৯ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তিটি ক্রেডিটভুক্ত করা হয় বলে অভিযোগ। ইডি অভিযোগে, ২০০৯ সালে ইউপিএ আমলে ওএনজিসি কর্তৃক স্যামসাং ইঞ্জিনিয়ারিংকে দেওয়া পেট্রোলিয়াম চুক্তিটিকেও কাঠগড়ায় তোলা হয়। সোমবার অর্থ তছরুপ বিরোধী আইনে থাম্পিকে গ্রেফতার করে ইডি। সংশ্লিষ্ট মামলায় এর আগে তাঁকে সমন জারি করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে ইডি আগেই জানিয়েছিল যে, স্কাই লাইট ও স্যানটেকের ব্যবসায়ী তৎপরতা কম ছিল। কিন্তু, সম্পত্তি কেনার ঠিক আগে তাদের অ্যাকাউন্টে ১.৯ মিলিয়ন পাউন্ডের সমপরিমাণ বিশাল আমানত জমা পড়েছিল। ২০১০ সালের ৯ থেকে ২৫ জুনের মধ্যে সংস্থার ব্যাঙ্ক আদানপ্রদানের তথ্য রয়েছে ইডির কাছে।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সম্পর্কিত খবর করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। তবে, ওএনজিসির কাছে এ বিষয়ে ইমেলে জানতে চাওয়া হলে তারা কোনও জবাব দেয়নি। স্যামসাং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মুখপাত্র জিন হার্টমন জানিয়েছিলেন, তাঁদের সংস্থা 'ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে আইন ও নীতিমালা মেনে চলে'।
Read the full story in English