কোভিডে মৃত্যু এক মাস আগে, 'নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে', মেসেজ এল এখন

সামিলের মৃত্যু হয়েছে প্রায় একমাস আগে। কিন্তু হঠাৎই ফোনে আসলে সেই মেসেজ, "আপনার কোভিড পরীক্ষার নমুনা নেওয়া হয়েছে"!

সামিলের মৃত্যু হয়েছে প্রায় একমাস আগে। কিন্তু হঠাৎই ফোনে আসলে সেই মেসেজ, "আপনার কোভিড পরীক্ষার নমুনা নেওয়া হয়েছে"!

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কোভিডে বিপর্যস্ত হয়েছে গোটা দেশ। প্রাণ হারিয়েছেন বহু। কিন্তু ফের সামনে এল করোনা পরীক্ষার গাফিলতি চিত্র। ঘটনাটি ঘটেছে পাতিয়ালাতে। সদ্য স্বামী সালিম খানকে হারিয়েছেন সোনিয়া। সামিলের মৃত্যু হয়েছে প্রায় একমাস আগে। কিন্তু হঠাৎই ফোনে আসলে সেই মেসেজ, "আপনার কোভিড পরীক্ষার নমুনা নেওয়া হয়েছে"!

Advertisment

এরপরই মেসেজ এল কোভিড টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ। বিস্ময়ে হতবাক সোনিয়া! এ কীভাবে সম্ভব? এক মাস আগেই তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে করোনা হানায়। এই ঘটনায় সরকারি রিপোর্টের গাফিলতিকেই দুষেছেন তিনি। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সোনিয়া বলেন, "কী করে এমনটা হয়? আমার স্বামী মারা গিয়েছেন ৩১ অক্টোবর। আর নমুনার রিপোর্ট এর মেসেজ আসল ২ ডিসেম্বর। আমার মাথা কাজ করছে না।"

সোনিয়া বলেন, "একটি বেসরকারী কারখানায় কর্মরত ছিলেন আমার স্বামী। ১৪ অক্টোবর আরটি-পিসিআর পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়েছিল। তাঁকে আম্বালা (হরিয়ানা) এর মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।"

Advertisment

সূত্রের কাছ থেকে জানা গেল যে পাতিয়ালা জেলার রাজপুরা কমিউনিটি হেলথ সেন্টার, কালো মাজরা থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের কাছে কোভিড -১৯ সংখ্যার সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগে এই বার্তা পাঠানো হচ্ছে।

কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের কালো মাজরার সিনিয়র মেডিকেল অফিসার বিকাশ গোয়েল বলেন, “এটি হতে পারে না, তবুও আমি হেলথ সেন্টারে পরীক্ষা করে দেখব, যদি এই ধরনের কাজ করা হয়েছে। পাঞ্জাবের কোভিড -১৯ এর নোডাল অফিসার, ডাঃ রাজেশ ভাস্কর বলেছেন, “এ জাতীয় ঘটনা ঘটার কোনও সম্ভাবনা নেই। একটি সম্ভাবনা থাকতে পারে, যদিও যে ব্যক্তি পরীক্ষা করেছেন তিনি হয়ত অন্য কিছু ব্যক্তির ফোন নম্বর দিয়েছিলেন। আমরা ইতিমধ্যে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষাকে নিরুৎসাহিত করছি এবং আমরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি অ্যান্টিজেন টেস্টিং কিটও দিচ্ছি না। তবুও, কোভিড -১৯ টেস্টিং সেন্টারের যে কোনও জায়গায় যদি এ জাতীয় ঘটনা ঘটতে থাকে তবে আমরা এটি পরীক্ষা করে কড়া ব্যবস্থা নেব।"

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus