স্বপ্নপূরণ! ভাইরাল ভিডিওর দৌলতে বদলালো জীবন, দিল্লিতে রেস্তরাঁ খুললেন 'বাবা কা ধাবা'র বৃদ্ধ

লকডাউনের সময় পেটের খিদেয় ছটফট করতেন। আজ রেস্তরাঁর মালিক।

লকডাউনের সময় পেটের খিদেয় ছটফট করতেন। আজ রেস্তরাঁর মালিক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
baba-dhaba

দিল্লির মালবিয়া নগরে ধাবা চালানো সেই বৃদ্ধ দম্পতিকে মনে আছে নিশ্চয়? লকডাউনে খদ্দেরের অভাবে প্রায় না খেতে পেয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। তবে ইউটিউবার গৌরব ওয়াসনের প্রচেষ্টায় রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যান তিনি। মিনিট কয়েকের এই ভিডিওই চিরতরে পালটে দিল সেই 'বাবা কা ধাবা'র (Baba Ka Dhaba) বৃদ্ধ দম্পতির জীবন। ভাগ্য যে কখন কার উপর তাঁর কৃপা দৃষ্টি রাখেন, তা সত্যিই বলা কঠিন। কষ্ট করে ধাবা চালানোর সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার মাস দুয়েকের মধ্যেই দিল্লিতে ঝাঁ চকচকে রেস্তরাঁ খুলে ফেললেন বৃদ্ধ কান্তা প্রসাদ।

Advertisment

কান্তা প্রসাদ জানিয়েছেন, "পুরনো দোকানের কাছেই আমরা একটা রেস্তরাঁ খুলেছি। রকমারি ইন্ডিয়ান এবং চাইনিজ খাবার পাওয়া যাবে এখানে। এসব পদ রান্না করার জন্য দু'জন রাঁধুনিও রেখেছি। তবে নতুন রেস্তরাঁ খুললেও পুরনো দোকানটা চালাবো।"

নতুন রেস্তরাঁ খুলেছেন বলে নাম বদলাননি। এই নয়া দোকানের নামও রেখেছেন 'বাবা কা ধাবা'। সোমবার উদ্বোধন হলেও বুধবার থেকেই খাদ্যরসিকদের জন্য রেস্তরাঁর দ্বার খুলছে। কারণ, একটু গুছিয়ে নেওয়ার জন্য দিন দুয়েক সময়ের প্রয়োজন। ক্রেতারা চাইলে এখানে বসেও খেতে পারেন, কিংবা বাড়িতে খাবার নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত অক্টোবর মাসে । দীর্ঘ লকডাউনের কারণে সে সময় দু’বেলা খেতে পেতেন না কান্তা ও তাঁর স্ত্রী বাদামী দেবী । দিল্লির মালবিয়া নগরে রাস্তার ধারে রয়েছে এক ছোট্ট ধাবা ‘বাবা কা ধাবা’। গাছের তলায় টিনের চালা দিয়ে ঢাকা। সেখানেই গত ৩০ বছর ধরে সামান্য টাকার বিনিময়ে খাবার বিক্রি করে নিজের ও বৃদ্ধা স্ত্রীর পেট চালাতেন বছর আশির কান্তা প্রসাদ। মেনু মটর পনীর, ডাল, পুরি। কিন্তু প্রতিদিন সেই খাবার নষ্ট হত । একজন ক্রেতাও আসতেন না তাঁদের দোকানে । সমস্ত পুঁজি শেষ হয়ে গিয়েছিল । রোজই চোখের জল মুছতেন কান্তা আর বাদামী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের এই দুর্দশার কথা তুলে ধরেন ইউটিউবার গৌরব ওয়াসন। এরপর দাবানলের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। নজর এড়ায়নি বলিউড তারকাদেরও। পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানান সুনীল শেট্টি, রবিনা ট্যান্ডনের মতো অভিনেতারাও। আর তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়েই অনেকে এই অসহায় বৃদ্ধের সাহায্যের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন। যার জেরেই আজকের এই ঝাঁ চকচকে রেস্তরাঁর জন্ম।

Advertisment