/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/11/Morbi-Bridge-1.jpg)
ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ওরেভা সংস্থার ম্যানেজার দীপক পারেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ব্রিজের জং পড়া কেবল সারানোই হয়নি। সারানো হলে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটতই না। মোরবি ব্রিজ বিপর্যয়ে ১৩৫ জনের (সরকারি হিসাব) মৃত্যুর পর ডিএসপি পি এ জালা নিম্ন আদালতে এমনটাই জানিয়েছেন। তার মানে, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থা কোনও কিছুই সারায়নি।
ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ওরেভা সংস্থার ম্যানেজার দীপক পারেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিচারক এম জে খানকে তিনি জানিয়েছেন, "এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে ভগবানের ইচ্ছাতেই।" ঘটনায় ধৃত ৯ জনকে দশ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। আদালতে শুনানির সময় ডিএসপি বলেন, ব্রিজের বহনক্ষমতা না ঠিক করেই সরকারি অনুমতি না নিয়েই গত ২৬ অক্টোবর ব্রিজ খুলে দেওয়া হয়। কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না, লাইফগার্ডও নিয়োগ করা হয়নি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, "কোনও কিছু সারানো হয়নি। শুধুমাত্র প্ল্যাটফর্মটুকু পাল্টানো হয়। ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি রিপোর্ট অনুযায়ী, আর কোনও কাজই হয়নি ব্রিজে।" গান্ধিনগরের ল্যাবের রিপোর্ট উল্লেখ করে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন পুলিশ আধিকারিক।
আরও পড়ুন মোরবির ব্রিজ বিপর্যয়ে মৃত বেড়ে ১৩৫, দুর্ঘটনাস্থলে প্রধানমন্ত্রী, কথা আহতদের সঙ্গে
ডিএসপি আদালতে বলেছেন, "ব্রিজটি কেবলের উপরে ভর করে রয়েছে। কোনও তেল দেওয়া, বা গ্রিস দেওয়া হয়নি কেবলে। যেখান থেকে কেবল ছিঁড়ে যায় সেখানে জং পড়া ছিল। সেটা যদি সারানো হত এমন দুর্ঘটনা ঘটত না। নমুনা সংগ্রহ করে তার গুণমান পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে সেগুলি খারাপ। সেগুলি তদন্ত করা হবে।"
সরকারি কৌঁসুলি এইচ এস দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে জানিয়েছেন, "তদন্তে দেখা গিয়েছে, ঠিকাদাররা যোগ্যতাসম্পন্ন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন না। উপর উপর কাজ করেছেন তাঁরা।"