মোরবি সেতু বিপর্যয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হাইকোর্টের, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব গুজরাট হাইকোর্টের। মরবিতে ব্রিজ ধসে পড়ার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে গুজরাট আদালত। আদালত স্বরাষ্ট্র দফতর, আরবান হাউজিং, মোরবি পুরসভা, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন সহ রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই নোটিশ জারি করেছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে
প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি আশুতোষ শাস্ত্রীর একটি ডিভিশন বেঞ্চ মুখ্য সচিব, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর, পৌরসভার কমিশনার, মোরবি পুরসভা, জেলা কালেক্টর এবং রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের মাধ্যমে গুজরাট সরকারকে নোটিশ জারি করেছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ নভেম্বর।
মরবি ব্রিজ বিপর্যয়ে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে
গুজরাটের মোরবিতে মাচ্ছু নদীর উপর ক্যাবল ব্রিজটি রবিবার সন্ধ্যায় ভেঙে পড়ে, এই দুর্ঘটনায় ১৩৫ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। এর পরে, ২ নভেম্বর, মোরবি আদালত এই মামলার চার আসামিকে ৫ নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠায় এবং বাকি ৫ জনকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয়। ওরেভা কোম্পানির দুই ম্যানেজার, দুই ক্লার্ক, দুই ঠিকাদার এবং তিনজন নিরাপত্তারক্ষীসহ ৯ অভিযুক্তকে ৩১ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: < ভয়াবহ ডেঙ্গু, রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ, পদক্ষেপ করতে কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর >
'যে ঠিকাদার সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল তারা যোগ্য ছিল না'
ফরেনসিক রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রসিকিউশন বলেছে, 'ক্যাবল ব্রিজের মেরামত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদাররা যোগ্য নন'। প্রসিকিউশন আরও উল্লেখ করেছে যে 'সেতুর মেঝে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল, তারের প্রতিস্থাপন করা হয়নি'। এই কারণে মেঝের ওজনভার বহন করতে না পেরে ভেঙে পড়ে সেতুটি। ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়।
আহতদের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১ লা নভেম্বর মঙ্গলবার মোরবিতে পৌঁছে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি হাসপাতালে পৌঁছে আহতদের খোঁজখবর নেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী মোদি একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক করেন, যেখানে বিশেষ তদন্ত কমিটিকে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।