Advertisment

রামমন্দির নির্মাণ তহবিলে ১ হাজার ৫০০ কোটি, ‘ধর্মের নামে অনুদানে ব্যাপক সাড়া মানুষের’, মন্তব্য VHP-র

গত জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ থেকে আমরা মন্দির নির্মাণের জন্য অনুদান সংগ্রহ শুরু করেছি। ফেব্রুয়ারি ২৭ তারিখ পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

করোনা আবহেও জোরকদমে রামমন্দির নির্মাণে চলছে  অর্থ সংগ্রহের কাজ। ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র’ ট্রাস্ট এই উদ্যোগ নিয়েছে। শনিবার, তারা জানিয়েছে এপর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি জমা পড়েছে মন্দির তহবিলে।

Advertisment

রামমন্দির ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ গোবিন্দদেব গিরি বলেন, “অযোধ্যায় বৃহৎ ও জমকালো রাম মন্দির তৈরির জন্য গোটা দেশ থেকে অনুদান আসছে। চাঁদা তোলার জন্য দেশজুড়ে ৪ লক্ষ গ্রাম ও ১১ কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্য আমাদের। গত জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ থেকে আমরা মন্দির নির্মাণের জন্য অনুদান সংগ্রহ শুরু করেছি। ফেব্রুয়ারি ২৭ তারিখ পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। আমি সুরাটে অনুদান সংগ্রহ করতে এসেছি। আমরা মানুষের কাছে থেকে বিপুল সাড়া পাচ্ছি। প্রায় ৪৯২ বছর পর ধর্মের জন্য কিছু করার সুযোগ পেয়েছে মানুষ।‘

অযোধ্যায় রাম মন্দির  তৈরির জন্য দেশজুড়ে অর্থ সংগ্রহে নেমেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সদস্যরা। ন্যূনতম ১০ টাকা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা জমা পড়ছে তহবিলে। এই কর্মসূচি সফল করার জন্য লাগাতার প্রচার চলছে। কিন্তু অনুদান সংগ্রহ নিয়ে প্রতারণা ও হিংসার খবরও সামনে এসেছে। কয়েকদিন আগেই ভুয়ো সংগঠন তৈরি করে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে রামমন্দির তৈরির টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি  উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট জেলায়। অভিযোগ, ‘কয়েকদিন আগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল সানগারহি থানার অন্তর্গত কলা মন্দির এলাকায় রাম মন্দির তৈরির জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে যায়। সেখানে যাওয়ার পর তারা জানতে পারেন অন্য একটি দল আগেই ওই এলাকার মানুষদের কাছ থেকে রাম মন্দির তৈরির চাঁদা নিয়ে গিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই জানা যায়, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা আরএসএসের অনুমোদন ছাড়াই ভুয়ো রসিদ তৈরি করে টাকা তুলেছে অভিযুক্তরা। তাই তাদের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।‘

Ram Temple VHP Ayodhya
Advertisment