বাংলা সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও, কেরল কর্ণাটক, গুজরাতে রকেট গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুসারে রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, ১২ হাজার ৯১১ জন। সেই সঙ্গে বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। গত সপ্তাহ থেকে এই সপ্তাহে বেড়েছে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও।
গত সপ্তাহে যা ছিল ০.১৪ শতাংশ। তা বেড়ে চলতি সপ্তাহে হয়েছে ০.২৫ শতাংশ। ২৪ জানুয়ারি থেকে প্রতিদিন রাজ্যে করোনাতে প্রাণ হারিয়েছেন গড়ে ২০ জন। বৃহস্পতিবারও করোনার বলি হয়েছেন ২২ জন। আহমেদাবাদেই প্রাণ হারিয়েছেন সাতজন। সেই সঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৫০১। সুরাতে গত কয়েকদিন ধরে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও এদিন, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, ১০৯৪ জন সেই সঙ্গে ১টি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সেই সঙ্গে ভাদোদরায় ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ২,৩৯৫ জন। দুটি মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে এবং রাজকোটে ১২৬৭ টি নতুন সংক্রমণ এবং তিনটি মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। মেহসানা এবং কচ্ছের মতো জেলাগুলিতেও বেড়েছে সংক্রমণ। এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী, ক্যাবিনেট মন্ত্রী রাজেন্দ্র ত্রিবেদী এবং রাঘবজি প্যাটেল করোনা আক্রান্ত হয়ে আহমেদাবাদের ইউএন মেহতা ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ভর্তি হয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে তাঁদের দু’জনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। কৃষি ও পশুপালন দফতরের মন্ত্রী এবং জামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রাঘবজি প্যাটেল ২৪ জানুয়ারি করোনায় আক্রান্ত হন, এবং ২৬ জানুয়ারি তাকে ইউএনএমআইসিআরসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার করোনায় হন তিনি।
এদিকে, উত্তর গুজরাটের ভিলোদা কেন্দ্রের প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়ক, অনিল জোশিয়ারা (৭০) চলতি মাসের গোড়ায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে আহমেদাবাদের সিআইএমএস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তিনি ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। ভাদোদরার রোসারি স্কুলের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং আহমেদাবাদের সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের পরিচালন সমিতির কর্মকর্তা, ফাদার লুকাস রায়াপ্পান এসজে বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে আমেদাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাণ হারিয়েছেন।