যমুনার জলস্তর কিছুটা কমলেও নাগাড়ে বৃষ্টিতে বেহাল দিল্লি। সকাল ৯টায় যমুনার জলস্তর রেকর্ড করা হয়েছে 205.98 মিটার, শীঘ্রই বিপদ সীমার নিচে নেমে আসবে জলস্তর এমনই মনে করছেন দিল্লির প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
দিল্লিতে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে প্রবল বৃষ্টি হয়। যার জেরে ফের দিল্লির বিভিন্ন অংশে জল জমে যায় ও ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ দিল্লিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে IMD। শনিবার দিল্লিতে মাত্র ৩ ঘণ্টায় প্রায় ১১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলেই জানিয়েছে IMD। দিল্লির দ্বারকা এলাকায় বন্যার ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে আইটিও, রাজঘাট, মথুরা রোড সহ অনেক এলাকা এখনও জলমগ্ন।
দিল্লির মন্ত্রী অতীশি জানিয়েছেন, ‘আজ যমুনার জলস্তর কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। জনগণের প্রতি অনুরোধ, জরুরি প্রয়োজন হলেই ঘর থেকে বের হন। আজ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ দেখে তা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে স্কুল-অফিস বন্ধ রাখা হবে কি না। এখানকার বন্যা দিল্লির মানুষের বিরুদ্ধে বিজেপির ষড়যন্ত্র’।
শনিবার আবারও প্রবল বর্ষণে দিল্লিতে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। শনিবার দিল্লির বেশ কয়েকটি অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়, যার ফলে শহরের বিভিন্ন অংশে জল জমে যায় এবং যানজটের সৃষ্টি হয়েছে, যার কিছু অংশ ইতিমধ্যেই গত কয়েকদিন ধরে বন্যার শিকার হয়েছে। লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা টুইটারে জানিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাকে ফোন করে দিল্লির পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন”।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আশ্বস্ত করেছেন যে বন্যার জল নিষ্কাশনে সরকার সবরমকের চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, "যমুনার জলস্তর কমছে। বৃষ্টি না পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হয়ে যাবে”।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, বৃষ্টির কারণে শহরের তাপমাত্রা ৩৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। রবিবারও দিল্লিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আজ দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩৪ এবং ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে বলেই জানিয়েছে IMD। রাজধানী জুড়ে যানজট নিয়ন্ত্রণে অন্তত সাড়ে চার হাজার ট্রাফিক কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়া ভারী পণ্যবাহী যানবাহন শহরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।