Advertisment

টিকার দাম কম হওয়াতেই বেঁচেছে তিন কোটির বেশি প্রাণ, জানালেন সাইরাস পুনাওয়ালা

সিরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন ১৭০ টিরও বেশি দেশে শিশুদের জীবন বাঁচাতে ব্যবহার করা হয়েছে, বলে জানিয়েছেন সাইরাস পুনাওয়ালা

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

টিকার দাম কম হওয়াতেই বেঁচেছে ৩০ লক্ষের বেশি প্রাণ, জানান সাইরাস পুনাওয়ালা

টিকাকরণ এবং কঠোর বিধিনিষেধ এই দুইয়ের ওপর ভর করেই ভারত আজ তৃতীয় ঢেউ দাপট অনেকটাই সামলে নিয়েছে। সারা বিশ্বে ওমিক্রনে প্রায় ৫ লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বস্বাথ্য সংস্থা।

Advertisment

সেই সঙ্গে ভারতেও মৃত্যু’র সংখ্যা রীতিমত মাথাব্যাথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও আইসিএমআরের তরফে জানানো হয়েছে আগামী মার্চ থেকেই পরিস্থিতি উন্নত হবে। এর মধ্যেই পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) এর চেয়ারম্যান সাইরাস পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, সাশ্রয়ী মূল্যের ভ্যাকসিন সমগ্র বিশ্বে প্রায় ৩ কোটির বেশি মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে।

সোমবার পুনেতে আয়োজিত একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “ আমাদের ভ্যাকসিনগুলি যেমন সাশ্রয়ী তেমনই তার গুনমানও উন্নত”। একই সঙ্গে তিনি জানান, তিনি বলেন, সিরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন ১৭০ টিরও বেশি দেশে শিশুদের জীবন বাঁচাতে ব্যবহার করা হয়েছে। "আমি বলতে পারি যে আমাদের ভ্যাকসিনের কারণে সেই জীবনগুলি রক্ষা পেয়েছে”।

সংস্থার শুরুর দিকের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, পুনের এক প্রান্তের তৈরি হওয়া সিরাম ইনস্টিটিউট আজ সারা বিশ্বের কাছে এক পরিচিত নাম তার জন্য তিনি বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ জানান। সংস্থার তৈরি স্বল্প মূল্যের ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, এটি মানুষকে অবাক করেছে কীভাবে একটি সংস্থা এত কম মূল্যে জীবনদায়ী ভ্যাকসিন বাজারে এনেছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দেশে ১৭২ কোটির বেশি করোনা টিকা ডোজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছ থেকে সুপারিশের পরই শুরু হবে ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের টিকাদানের কাজ।

দেশের টিকাদান কর্মসূচির অধীনে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ৭৫ শতাংশ টিকার ডোজ পেয়েছেন বলেও এদিন জানান মন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি জানান, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন ৯৬ শতাংশ এবং টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন ৭৭ শতাংশ মানুষ।

ইতিমধ্যে ভারত বিশ্বকে টিকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এমনকি দ্রুত গতিতে টিকা তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে টিকাদানের কাজে ভারত বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে। টিকা দানের কারণেই ভারতে তৃতীয় ঢেউ সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘ডেটা অনুসারে এখনো পর্যন্ত ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের প্রায় ৬ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে’।

Read story in English

Cyrus Poonawalla Serum Institute
Advertisment