দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। শুধুমাত্র একদিনেই মহারাষ্ট্রে ৭০০-র বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ৭১১। সোমবার সংখ্যাটা ছিল ২৪৮। সেই হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যাটা একদিনে লাফিয়ে ২০০% বাড়ল। শুধু তাই নয়। মহারাষ্ট্রে করোনার কারণে মঙ্গলবার মৃত্যুও ঘটেছে। এর মধ্যে দুটি মৃত্যু ঘটেছে সাতারায়। আর একটি মৃত্যু ঘটেছে পুণেতে। করোনায় চতুর্থ মৃত্যু ঘটেছে মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরিতে।
রাজস্থানেও পরিস্থিতি বেশ খারাপ। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট থেকে বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া দু'জনেই আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। দুই নেতাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁরা বলেছেন, চিকিৎসকের পরামর্শে আপাতত তাঁরা আইসোলেশনে আছেন।
মঙ্গলবার, সব মিলিয়ে ভারত ৩,০৩৮টি নতুন করোনভাইরাস আক্রান্তের সাক্ষী হয়েছে। এরমধ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২১,১৭৯ হয়েছে। মঙ্গলবার তথ্য আপডেটের পর এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পাশাপাশি, নতুন করে মোট ৯ জনের মৃত্যুর জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫,৩০,৯০১।
নতুন মৃত্যুগুলোর মধ্যে দিল্লি এবং পাঞ্জাব প্রতিটি রাজ্য থেকেই দুটি করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে জম্মু ও কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরাখণ্ডে একজন করে এবং দু'জন করে কেরলে মারা গিয়েছেন।
তবে, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। গত সাত দিনে সেখানে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে এখনও করোনার জেরে মৃত্যুর হার ১.৮২ শতাংশ। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই এখন সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৭৯২। গত একসপ্তাহে এর জেরে করোনায় মৃত্যুর হার মহারাষ্ট্রে ৬২% বৃদ্ধি পেল।
আরও পড়ুন- প্রবীণ নাগরিকদের রেলে ছাড় ফিরিয়ে আনার অনুরোধ, মোদীকে খোলা চিঠি কেজরিওয়ালের
এর মধ্যেই করোনা আক্রান্তদের জন্য নতুন সুখবর শুনিয়েছেন চিকিৎসকরা। নতুন এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, টাইপ-২ নিয়ন্ত্রণের জন্য বহুল ব্যবহৃত ওষুধ মেটমর্ফিন কোভিড প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে। গবেষকদের দাবি, মেটমর্ফিন দীর্ঘসময় ধরে কোভিড আক্রান্তের সম্ভাবনা ৪২ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। করোনার ব্যাপক বাড়াবাড়ির সময়ও এই ঘটনা ঘটেছে বলেই দাবি গবেষকদের।