Advertisment

মুম্বাইয়ের ৩৬% মানুষের দেহে Covid অ্যান্টিবডি, বহুতলের থেকে এগিয়ে বস্তি: সেরোসার্ভে

সংক্রমণের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু সুষম আহার ও পুষ্টি না পেলে সংক্রমণের কয়েকমাসের মধ্যে ফের কমতে শুরু করে সেই অ্যান্টিবডি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Covid-19 in Mumbai, Serosurvey, Antibody, Corona India, Maharashtra

মুম্বাইয়ের ৩৬.৩% মানুষের দেহে করোনা অ্যান্টিবডি রয়েছে। চলতি বছর মার্চে বৃহন্মুম্বাই পুরসভা আয়োজিত সেরোসার্ভে সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। গত বছর থেকে ২০২১ মার্চ পর্যন্ত মোট তিনটি সেরোসার্ভে সমীক্ষা চালিয়েছে এই পুরসভা। গত জুলাই মাসে বাণিজ্য নগরীর মোট ৪০.৫% মানুষের দেহে করোনা অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছিল। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬.৩%।

Advertisment

সেই সমীক্ষা মোট ১০,১৯৭ জনের মধ্যে চালানো হয়েছিল। রিপোর্টে উল্লেখ, মুম্বাইয়ের বস্তি এলাকায় ৪১.৬% মানুষের মধ্যে সেরো পজিটিভিটি দেখা গিয়েছে। যেখানে বহুতলের বাসিন্দাদের মধ্যে সেরো পজিটিভিটি মাত্র ২৮.৫%।

জানা গিয়েছে, গত তিনটি সমীক্ষায় ক্রমহারে বস্তির বাসিন্দাদের মধ্যে কমেছে অ্যান্টিবডি। সেখানে বহুতলের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্রমহারে বেড়েছে অ্যান্টিবডি।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সংক্রমণের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু সুষম আহার ও পুষ্টি না পেলে সংক্রমণের কয়েকমাসের মধ্যে ফের কমতে শুরু করে সেই অ্যান্টিবডি।

এদিকে, এক সপ্তাহের লকডাউন হলেও দিল্লিতে কমেনি করোনা সংক্রমণ। বরং প্রবল গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে কোভিড। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে দিল্লি সরকার এক সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ফের বাড়ানো হল লকডাউন। আগামী সোমবার অর্থাৎ ৩ মে পর্যন্ত রাজধানীতে লকডাউন জারি থাকবে।

রবিবার এ কথা জানিয়ে দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রাজধানীতে গত ৬ দিন লকডাউন থাকা সত্ত্বেও করোনায় মৃতের সংখ্যা কমেনি৷ করোনার গ্রাফ দ্রুত গতিতে উপরের দিকে বেড়েই চলেছে৷ সেই প্রেক্ষাপটেই এদিনের সিদ্ধান্ত। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, আগামী ৩ মে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত দিল্লিতে লকডাউন বলবৎ থাকবে। প্রসঙ্গত, গত ১৯

রাজধানীতে কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় পর্যাপ্ত অক্সিজেনের তীব্র অভাব এদিনও। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রয়োজন ৭০০টন অক্সিজেন। এদিকে কেন্দ্র বরাদ্দ করেছে ৪৮০টন অক্সিজেন। অক্সিজেন সঙ্কট মোকাবিলায় শনিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অক্সিজেনের জন্যে আবেদন জানিয়েছেন।

দেশে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ফের বিশ্বে সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। রবিবার দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাতেও রেকর্ড তৈরি করল ভারত। পরপর ৪ দিন দেশে দৈনিক আক্রান্ত ৩ লক্ষ পার।একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৩,৪৯,৬৯১। মৃতের সংখ্যা ২,৭৬৭। সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ২,১৭,১১৩ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ২৬,৮২,৭৫১।

এদিকে, করোনায় মৃতের সংখ্যা পরপর ৫ দিন ২ হাজার পার করল। সবমিলিয়ে ভারতে মোট আক্রান্তর সংখ্যা ১,৬৯,৬০,১৭২। মোট সুস্থের সংখ্যা ১,৪০,৮৫,১১০। মোট মৃতের সংখ্যা ১,৯২,৩১১।

Corona India Antibody Serosurvey
Advertisment