Advertisment

‘নিরীহ ছেলেকে জেলে পাঠিয়েছেন!’ রেগে সাংবাদিকের দিকে তেড়ে গেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

Lakhimpur Kheri Case: লখিমপুর-কাণ্ডে অভিযুক্ত হিসেবে জেল হেফাজতে রয়েছেন মন্ত্রী-পুত্র আশিস মিশ্র।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Lakhimpur Kheri: Ashish Mishra in police custody, BJP backs his father

বিরোধীরা ক্রমাগত সরব হয়েছে অজয় মিশ্রের পদত্যাগের দাবিতে। ফাইল ছবি

Lakhimpur Kheri Case: জেলবন্দি পুত্রকে নিয়ে প্রশ্ন। মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিক নিগ্রহে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র। লখিমপুর-কাণ্ডে অভিযুক্ত হিসেবে জেল হেফাজতে রয়েছেন মন্ত্রী-পুত্র আশিস মিশ্র। বুধবার তাঁর ব্যাপারেই প্রশ্ন করা হলে মেজাজ হারান মন্ত্রী। উলটে সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এমনকি, নিজের ছেলেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করেন অজয় মিশ্র। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের ট্যুইট করা একটা ভিডিও ঘিরেই বিতর্ক। যদিও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি।

Advertisment

কিন্তু ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে,’জেলবন্দি ছেলের বিষয়ে প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে তাঁর মন্তব্য সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা চোর। একজন নিরীহ ছেলেকে জেলে পাঠিয়েছেন, আপনাদের লজ্জা করে না। আগে মাইক বন্ধ করুন। কী জানতে চান আমার থেকে।‘ দেখুন সেই ভিডিও। যদিও সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।

এরপরেই দেখা গিয়েছে নিজের হাতেই মাইক সরিয়ে দিচ্ছেন মন্ত্রী।

এদিকে, লখিমপুরকাণ্ডে মঙ্গলবারই উত্তরপ্রদেশ সরকার গঠিত সিট আদালতে তদন্ত রিপোর্ট জমা করেছে। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ, কৃষকদের পিষে মারার ঘটনা ‘পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযুক্ত পুত্র আশিস মিশ্র সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারায় অর্থাৎ খুনের চেষ্টার মামলা রুজুর জন্য সিট আদালতের থেকে অনুমতি চেয়েছে। আর তারপর থেকেই রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়েছে। সেই আঁচ বুধবার পড়েছে সংসদে।

উত্তরপ্রদেশের বিশেষ তদন্তকারী দলের দেওয়া রিপোর্টের উপর আলোচনা চেয়ে এ দিন লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে বহিষ্কারেরও দাবি জানিয়েছেন রাহুল ৷ কিন্তু লোকসভার অধ্যক্ষ তাতে রাজি হননি। এরপরই কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করতে থাকে। ফলে বিরোধী সাংসদদের চেঁচামিচিতে মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন।

পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা পীযূষ গোয়েল বিরোধীদের দাবি ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন। জানিয়েছেন, লখিমপুর খেরির বিষয়টি বিচারাধীন। ফলে তদন্ত-বিচারের শেষেই সব সিদ্ধান্ত হবে।

লোকসভার পাশাপাশি এ দিন রাজ্যসভাও সরগরম ছিল লখিমপুর ইস্যুতে। সঙ্গে রাজ্যসভার ১২ জন সাংসদের উপর থেকে সাসপেনশনের শাস্তি প্রত্যাহারেও দাবি জানান বিরোধী দলের সাংসদরা। কোনও ইস্যুতে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওার ইস্যু খুঁজে না পেয়েই বিরোধী সাংসদরা অধিবেশন চলতে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পিযূস গোয়েলের।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Lakhimpur Violence Journalist Heckle SIT probe
Advertisment