Lakhimpur Violence: লখিমপুর-কাণ্ডের তিন দিন পর নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে গিয়ে কাজ যোগ দেন মন্ত্রী অজয় মিশ্র। স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী এই অজয় মিশ্রই লখিমপুর-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত। তাঁর ছেলে পেশায় ব্যবসায়ী আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে কৃষকদের গুলি করে এবং গাড়ি দিয়ে পিষে মারার অভিযোগ উঠেছে। ছেলের কৃতকর্মের জন্য নানা মহল থেকে বাবার মন্ত্রিত্ব থেকে বরখাস্তের দাবি উঠেছে। জানা গিয়েছে, এদিন নর্থ ব্লকে গিয়ে শুধু কাজে যোগ নয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন প্রতিমন্ত্রী।
লখিমপুর-কাণ্ড এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দুই মন্ত্রীর কথা হয়েছে। এমনটাই নর্থ ব্লক সুত্রে খবর। এদিকে ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর আসরে নেমেছিলেন অজয় মিশ্র। ছেলে এই কাজে জড়িত প্রমাণ হলে, মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এদিকে, উত্তরপ্রদেশে ভোট দোরগোড়ায়। ফলে লখিমপুর খেরিতে চার কৃষক সহ আট জনের মৃত্যু বিজেপিকে চাপে ফেলে দিয়েছে বিস্তর। যেখানে ১৭-য় হু-হু করে উঠে এসেছিল বিজেপি, সেখানে তাদের হু-হু করে নেমে যাওয়ার ভয় তৈরি হয়েছে। উত্থানটা কী রকম ছিল? লখিমপুর খেরি জেলায় ২০১৭-র ভোটে বিজেপি সব কটি আসনে জিতে গিয়েছিল। ঠিক তার আগের ভোটে বিজেপি জয় পেয়েছিল মাত্র একটি আসনে।
লখিমপুর খেরি জেলার জনসংখ্যায় ব্রাহ্মণরা প্রধান। তার পর মুসলিম, কুর্মিরা। এখানকার ৮০ শতাংশই গ্রামীণ। এর বেশির ভাগেই আখ চাষ হয়। অধিকাংশ চাষিই শিখ। দেশ ভাগের পর এই শিখ পরিবারগুলির পূর্বসূরিরা এই উর্বর ক্ষেত্রে পাকিস্তান থেকে এসে বসবাস শুরু করেন। এঁদের বেশির ভাগই আর্থিক ভাবে সচ্ছল। বিজেপির আশঙ্কা লখিমপুর খেরির হিংসা এই জেলার সীমানাবর্তী পিলভিট, শাহজানপুর, হরদোই, সীতাপুর এবং বাহারাইচে প্রভাব ফেলবে। ২০১৭ সালের ভোটে এই সব অঞ্চলেও বিজেপির শ্রীবৃদ্ধি হয়েছিল বিরাট। এখানকার ছ’টি জেলায় ৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ৩৭টি। আর বাকিরা? কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়া সমাজবাদী পার্টি জিতেছিল মাত্র ৪টিতে। কংগ্রেস কোনও আসন পায়নি। এই নির্বাচনী ফল ২০১২-র ফলাফলের অনেকটা বিপরীত। ১২-য় সমাজবাদী পার্টি এই অঞ্চলে পেয়েছিল ২৫টি আসন, বিএসপি পায় ১০টি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন