সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ২১ জন কাশ্মীরে প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু, তারপরও একজন পণ্ডিতও উপত্যকা ছাড়েননি। বুধবার লোকসভায় এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, '২০১৯-এর ৫ আগস্ট থেকে ২০২২-এর ৯ জুলাই, জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় ১১৮ জন নাগরিক এবং ১২৮ জন নিরাপত্তারক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন। যে ১১৮ জন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন, তার মধ্যে পাঁচ জন কাশ্মীরি পণ্ডিত। আর, ১৬ জন হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের। এই সময়কালে কোনও তীর্থযাত্রী প্রাণ হারাননি।'
সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের পর এই সময়কালে ঠিক কতজন কাশ্মীরি পণ্ডিত উপত্যকা ছেড়েছেন। জবাবে রাই বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন প্রকল্প (পিএমডিপি)-র অধীনে ৫,৫০২ জন কাশ্মীরি পণ্ডিত উপত্যকায় জম্মু-কাশ্মীর সরকারের বিভিন্ন দফতরে চাকরি পেয়েছেন। তথ্য বলছে, এই সময়ে কোনও কাশ্মীরি পণ্ডিত উপত্যকা ছাড়েননি।' ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট, কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলুপ্তির কথা ঘোষণা করে। পাশাপাশি, গোটা উপত্যকাকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেয়। যাতে উপত্যকার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হয়। পাশাপাশি, জঙ্গিদেরও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ, কলকাতায় পথে নামল বিজেপি
তার পর ৩১ মে, জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় এক মহিলা শিক্ষককে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। এর পর কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সরকারি কর্মচারী সংগঠন সরকারকে হুমকি দেয় যে তারা উপত্যকা ছেড়ে দেবে, যদি তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিরাপদ স্থানে বদলি করে দেওয়া না-হয়। যে শিক্ষিকাকে জঙ্গিরা ৩১ মে গুলি করে খুন করেছিল, তাঁর নাম রজনী বালা। তিনি জম্মুর সাম্বা জেলার বাসিন্দা ছিলেন। যে স্কুলের তিনি শিক্ষিকা, সেই স্কুলের মধ্যে তাঁকে গুলি করে খুন করেছিলেন জঙ্গিরা। তার আগে বদগাম জেলার চাদুরা তেহসিলদারের কার্যালয়ে রাহুল ভাট নামে এক কাশ্মীরি পণ্ডিত সরকারি কর্মীকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। অফিসের মধ্যেই তাঁকে খুন করেছিল জঙ্গিরা।
Read full story in English