সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় 'রামলালা বিরাজমান' অংশ গ্রহণ করবে না, একথা জানিয়ে দেওয়ার পর এবার একই পথ ধরে আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিল মসজিদের হয়ে সওয়ালকারী পক্ষও। ৩০ সেপ্টেম্বর রামলালা বিরাজমানের আইনজীবী সি এস বৈদ্যনাথন আদালতকে জানান, 'আমরা (মধ্যস্থতা প্যানেলে) অংশ নিচ্ছিলাম না।' এরপর দিল্লিতে ৮ অক্টোবর একটি বৈঠকে অংশ গ্রহণের জন্য ২ অক্টোবর মসজিদ পক্ষের আইনজীবী এজাজ মকবুলকে চিঠি পাঠায় মধ্যস্থতাকারী কমিটি। এরপরই মসজিদ পক্ষ জানিয়ে দেয়, তাঁরা আদালতের কার্যক্রম নিয়ে 'ব্যস্ত' রয়েছেন।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে খবর, ৮ অক্টোবরের বৈঠকটি কে আহ্বান করেছে তা জানতে চেয়েছে মসজিদ পক্ষ। তাঁরা মধ্যস্থকারীদের কাছে আরও জানতে চেয়েছে যে চলতি বছরের মার্চ মাসে মসজিদ ও মন্দিরের সহাবস্থানের বিষয়ে যে প্রস্তাব তাঁরা দিয়েছিল, সে বিষয়ে অন্য তরফ কোনও প্রস্তাব পেশ করেছে কি না।
এদিকে, মন্দির পক্ষ এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি এবং তাঁরা এ বিষয়ে কোনও প্রস্তাবও পেশ করেনি। আর এর ফলেই মধ্যস্থতার প্রক্রিয়া 'ব্যর্থ' প্রতিপন্ন হয়। আইনজীবীরাও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি এবং মধ্যস্থতাকারীদেরও যোগাযোগ করা যায়নি।
উল্লেখ্য, মাদ্রাজ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এফ এম আই খলিফুল্লাহআর্ট অব লি ভিং খ্যাত শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর এবং প্রবীণ আইনজীবী শ্রীরাম পাঁচুকে নিয়ে গঠিত মধ্যস্থতাকারী প্যানেলকে চিঠি লেখেন সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের জুফার ফারুকি এবং নির্মোহী আখড়ার ধর্ম দাস। তাঁরা বলেন, প্রক্রিয়া পুরায় শুরু করুন। এরপরই প্যানেল ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে।
এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বিচার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি সমান্তরালভাবে মধ্যস্থতা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, ১৮ অক্টোবরের মধ্যে যাবতীয় সওয়াল শেষ করতে হবে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম নির্দেশে চলতি বছরের ৮ মার্চ মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর ৭ মে মধ্যস্থতাকারীরা একটি রিপোর্ট জমা দিয়ে জানান, তাঁরা 'এগোচ্ছেন'। প্রাথমিকভাবে মধ্যস্থতা শেষ করার জন্য ১৫ অগাস্টকে চূড়ান্ত দিন হিসাবে ধার্য করা হলেও, ১১ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট তা বাড়িয়ে ২৯ জুলাই করে দেয়। এই সময়কালের মধ্যে যাবতীয় আলোচনা সেরে ফেলার নির্দেশও দেওয়া হয়। আর এরমধ্যেই মধ্যস্থতা 'ব্যর্থ' হয়।
Read the full story in English