যোগী রাজ্য সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী ডঃ সঞ্জয় নিশাদের একটি বিবৃতি নিয়ে তুল কালাম রাজ্য-রাজনীতি। বুধবার এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মন্দিরের কাছে নির্মিত সব মসজিদ অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে’। একই সঙ্গে তিনি বলেন, মাদ্রাসাগুলোতে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মকে প্রশয় দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, শুধু মাদ্রাসা থেকেই অপরাধী ও সন্ত্রাসবাদীদের যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে। মাদ্রাসাগুলোর ওপর নজরদারির প্রয়োজন।
জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় বিচারবিভাগের প্রশংসার করে তিনি বলেন, এই রায়কে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ভারতে ধর্মীয় উম্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের মন্দিরের কাছে নির্মিত সব মসজিদ অপসারণ করতে হবে। উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে মাদ্রাসার যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে। মাদ্রাসা থেকে সন্ত্রাসবাদীরা বহুবার ধরা পড়েছে।
মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “যেখানে মন্দির আছে, এবং সেখানেই একটি মসজিদ! আমি চাই প্রতিটি মন্দিরের পাশে থেকে মসজিদ সরিয়ে দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমি জ্ঞানবাপী মামলার বিচারককে অভিনন্দন জানাব এবং যারা এতে সহযোগিতা করছেন তারা সকলেই অভিনন্দনের যোগ্য। আদালত যদি ভারতীয় সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে থাকে, তবে তাদের জন্য শুভকামনা। প্রত্যেকেই চায় ভারতীয় সংস্কৃতির সম্মান বাড়ুক, কিন্তু এমন কিছু শক্তি আছে যা শিশুদের ভিতরে বিষ প্রবেশ করাচ্ছে। তাদের মুল স্রোত থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আজ কাশ্মীরে দাঙ্গা শেষ হয়েছে। কাশ্মীর জুড়ে এখন শুধুই শান্তি”।
বিরোধীদের ওপরও আক্রমণ
এর পাশাপাশি তিনি বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। এদিন তিনি বলেন, বিরোধীরা ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করে উন্মাদনা ছড়াচ্ছে এবং দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু রাজ্যে যোগীর সরকার এবং কেন্দ্রে মোদীর সরকার থাকায় সেই দাঙ্গা দমন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, মুসলিম শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মুসলিমরা চান না তাদের ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত হোক, সচেতন হোক।