প্রায় তিন বছর হতে চলল করোনার দাপট। সম্প্রতি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে সারা বিশ্বে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও মৃত্যুহার একই রয়েছে। এটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এর মধ্যেই সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জাতীয় রাজধানীতে কোমর্বিডিটিতে করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের বুলেটিন অনুসারে নতুন করে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯,৪০৬ জন। পাশাপাশি একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের।
দিল্লিতে মাঝে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও আবারও ২ হাজার ছাড়িয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুসারে চলতি মাসের প্রথম ৫ দিনেই দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। শুক্রবার দিল্লিতে নতুন করে কোভিড পজিটিভ হয়েছেন ২হাজার ৪১৯ জন। পজিটিভিটি রেট বেড়ে হয়েছে ১২.৯ শতাংশ। সরকারি হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন যারা চলতি মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই কোমর্বিডিটিতে আক্রান্ত ছিলেন।
লোক নায়ক হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর চিকিৎসক সুরেশ কুমার বলেন, “ওমিক্রন তৃতীয় ঢেউয়ের মতই যাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যেমন যাদের ডায়ালিসিস চলছে, যারা হার্টের অসুখে ভুগছেন, যাদের যক্ষা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে করোনা ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনছে। বেশিরভাগই সেই রোগের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। অধিকাংশের মৃত্যু হচ্ছে”।
এই হাসপাতালেই মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসায় ২০ শয্যার একটি আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, “চলতি সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের মত কোভিড আক্রান্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন”।
গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালেও ইতিমধ্যেই একটি মৃত্যু সামনে এসেছে। হাসপাতালের সিনিয়ার চিকিৎসক ডাঃ সুভাষ গিরি বলেন” আগের তুলনায় বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। তবে গত কয়েক মাসে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি”।