কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লি সীমানা। ড্যামেজ কন্ট্রোলে শর্ত সাপেক্ষে আলোচনায় বসার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে পাঞ্জাবের অধিকাংশ কৃষক সংগঠন। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পদ্ধতি ও মান্ডি প্রথা ফেরানোর দাবিতে অনড় আন্দোলকারী কৃষকরা। কেন্দ্রের ঠিক করে দেওয়া জায়গার বদলে দিল্লির যন্তরমন্তরেই নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ গড়ে তুলতে মরিয়া কৃষকদের সংগঠন।
কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। রাজধানী দিল্লি বিক্ষোভের শামিল হতে কৃষকরা লং মার্চ করে জড়ো হতে থাকেন পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায়। তবে রাজধানীতে বিক্ষোভের অনুমতি মেলেনি। কৃষকদের হঠাতে জলকামানও ব্যবহার করেছে পুলিশ। তবে তাতেও দমানো যায়নি বিক্ষুব্ধ কৃষকদের। ‘দিল্লি চলো’ মার্চের অঙ্গ হিসেবে শুক্রবার পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। শনিবারও সেই আন্দোলনের তীব্রতা বজায় ছিল। কৃষক সংগঠনগুলির কাছে আলোচনার দরজা খুলে রাতে শাহ বলেন, 'কৃষক ইউনিয়নগুলি যদি ৩ ডিসেম্বরের আগে আলোচনা করতে চায়, তবে তাদের আশ্বাস দিচ্ছি, আপনার প্রতিবাদ অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেলে পরের দিনই সরকার আলোচনায় বসবে।'
এ প্রসঙ্গে তিনি নিজে তিন কৃষক নেতা যোগিন্দার সিং উগ্রাহন, জগজিৎ সিং ডালেওয়াল ও বলবির সিং রাজেওয়ালকে ফোন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ।
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের সভাপতি যোগিন্দার সিং উগ্রাহন দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'দিল্লি সীমানা বন্ধ না করে বুরারিতে বিক্ষোভ আন্দোলন করার আর্জি জানিয়েছিলেন অমিত শাহ। কিন্তু আমরা সেখানে যাব না। সীমানা আটকে থাকলে অসুবিধা হয় বুঝছি। তাই আর্জি জানিয়েছি যাতে যন্তরমন্তরেই সরকার আমাদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের অনুমতি দেয়।'
যোগিন্দার সিং উগ্রাহনের দাবি, 'আমরা একা নই, বহু সংগঠন এই বিক্ষোভে শামিল। তাই বলেছি কেন্দ্র আমাদের নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিক। আলোচনার ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।' প্রায় ৫০০ কৃষক সংগঠন মোদী সরকারের কৃষি আইনের প্রতিবাদে মুখর। তাদের দাবি তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার, পোক্ত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য আইন বলবৎ ও বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল প্রত্যাহার করা।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন