ভূস্বর্গে সন্ত্রাস দমনে ফের সাফল্য পেল সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী৷ এবার সেনার গুলিতে খতম কাশ্মীরের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের তালিকায় থাকা মহম্মদ আব্বাস শেখ৷ স্থানীয় যুবকদের মগজধোলাইয়ের কাজ করত আব্বাস৷ বছরের পর বছর ধরে ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে এলাকার যুব সমাজকে জঙ্গি দলে টানার কাজ করত সে৷ শ্রীনগরের আলোচি বাগ এলাকায় সাধারণ পোশাকেই ঘোরা-ফেরা করছিল মহম্মদ আব্বাস৷ সূত্র মারফত সেই খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী৷ নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে নিহত হয়েছে মোস্ট ওয়ান্টেজ জঙ্গি মহম্মদ আব্বাস ও তার সহযোগী আরও এক জঙ্গি সাকিব মনজুর৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬-তে হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম থেকে শ্রীনগর শহরে এসে ঘাঁটি গেড়েছিল মহম্মদ আব্বাস শেখ৷ গত বছরেই শেখ জম্মু কাশ্মীরের প্রতিরোধ বাহিনীর প্রধান হয়৷ কুলগামের রামপুর গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আব্বাস শেখ৷ ২৫ বছর আগে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছিল সে৷ পরবর্তী সময়ে দু’বার গ্রেফতারও হয়েছিল আব্বাস৷ ২০০৪ সালে জঙ্গি কাজকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রথম গ্রেফতার হয় আব্বাস৷ পরের বছরেই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যায়৷ এরপর ২০০৭ সালে ফের গ্রেফতার হয় আব্বাস৷ একটানা ৪ বছর জেল খেটেছিল এই জঙ্গি নেতা৷ জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিন বছর ধরে তার কোনও খোঁজ ছিল না৷
আরও পড়ুন- ‘আফগানিস্তান লস্কর-জইশকে প্রশ্রয় দেবে না’, রাষ্ট্র সংঘে জোর সওয়াল উদ্বিগ্ন ভারতের
এদিকে, গত বছরে সেপ্টেম্বর মাসে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ঘোষণা করে শ্রীনগর জঙ্গি-মুক্ত৷ তবে তলে-তলে শ্রীনগরেও যে জঙ্গি কার্যকলাপ চলছিল তার আন্দাজ পায়নি সেনা৷ জানা গিয়েছে, গত ৬ মাসে শ্রীনগর থেকে ৯ যুবককে মগজধোলাই করে দলে টেনেছিল মহম্মদ আব্বাস শেখ৷
জম্মু কাশ্মীর পুলিশের আইজি জানিয়েছেন, উপত্যকার ১০ মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির তালিকায় নাম ছিল মহম্মদ আব্বাস শেখের৷ নিহত এই জঙ্গি নেতার চালচলন ছিল অত্যন্ত স্বাভাবিক৷ সেই কারণেই সহজে কারও নজরে আসত না সে৷ এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, যে কোনও হামলার পিছনে সরাসরি মহম্মদ আব্বাস যুক্ত থাকত না৷ তবে হামলার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে যাবতীয় ছক সাজাত আব্বাস নিজেই৷ এই জঙ্গি নেতাই অন্যদের নির্দেশ দিয়ে একের পর এক নাশকতামূলক কাজ চালাত৷
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন