ফের প্রশ্নের মুখে রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দুর্গাপুরের মা-মেয়ের মৃত্যু আরও একবার আঙুল তুলল রেলমন্ত্রকের পরিকাঠামো এবং সুরক্ষা ব্যবস্থার দিকে। দুর্গাপুরের ২১ নং ওয়ার্ডের রাঁচি কলোনির বাসিন্দা মীনা ডোম তাঁর ছোট মেয়ে মনীষাকে নিয়ে রাজস্থান যাওয়ার পথে ছিনতাইবাজদের কবলে পড়েন। ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দিতে গিয়ে মৃত্যু হয় মা এবং মেয়ের।
ঠিক কী হয়েছিল?
রাজস্থানের কোটায় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য দুর্গাপুরের বাসিন্দা মীনা ডোম তাঁর ছোট মেয়ে মনীষা কুমারীকে নিয়ে রাজস্থানের উদ্দেশ্যে রওনা হন। উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবন রোড স্টেশনে ট্রেনে ওঠে জনাকয়েক ছিনতাইবাজ। তারা মীনাদেবীর হাত থেকে তাঁর ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে ওই ব্যাগে মনীষার যাবতীয় নথিপত্র থাকায় ছিনতাইকারীদের সেই ব্যাগ দিতে অস্বীকার করেন মীনা। কিন্তু ব্যাগ টানাটানির মাঝেই চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দেন মীনাদেবী, এমনটাই সূত্রের খবর। মাকে বাঁচাতে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন মেয়ে মনীষা।
পরে মথুরা রোড স্টেশনের কাছে রেললাইন থেকে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দুটি মৃতদেহ নিয়ে দুর্গাপুরের দিকে রওনা হয়েছেন পরিবারের এক সদস্য।
আরও পড়ুন- স্বনির্ভর হতে সাধের স্কুটি নিয়ে পথে দুর্গাপুরের প্রথম মহিলা বাইক ট্যাক্সিচালক সুস্মিতা
উল্লেখ্য, এদিন ভোরেই দুর্গাপুরের ২১ নং ওয়ার্ডের রাঁচী কলোনীর বাড়ীতে দুঃসংবাদ এসে পৌঁছয়। মনীষার বাবা দিলীপ ডোম জানান যে এমাসের পয়লা তারিখে পূর্বা এক্সপ্রেসে শাহদরায় প্রথমে তাঁর বড় মেয়ের বাড়ি যান স্ত্রী এবং মেয়ে। এরপর সেখান থেকে রাজস্থানের কোটার উদ্দেশ্যে অন্য ট্রেনে রওনা দেন মীনা এবং মনীষা। তবে মীনাদেবীদের সঙ্গে দিল্লী নিবাসী এক আত্মীয়ও ছিলেন বলে জানান দিলীপবাবু। রেলের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শোকাতুর দিলীপ ডোম। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
দুর্গাপুরের খবর পড়ুন এখানে