দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বাইরের কারও মন্তব্যকে স্বাগত জানাবে না ভারত। আমেরিকাকে কড়া বার্তা বিদেশমন্ত্রকের। সম্প্রতি কর্নাটকের হিজাব বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলে আমেরিকা। হিজাব ইস্যুতে কর্নাটক সরকারের পদক্ষেপের সমালেচানা করেছে মার্কিন প্রশাসন।
মার্কিন প্রশসানের বক্তব্য, ''স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে। মেয়েদের কলঙ্কিত করেছে ওই পদক্ষেপ।'' ভারতের একটি রাজ্যের বিতর্ক নিয়ে আমেরিকার এই মনোভাব ভালোভাবে নেয়নি বিদেশ মন্ত্রক। এব্যাপারে ভারত সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
একটি বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ''কর্নাটকের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পোশাক বিধি সংক্রান্ত একটি বিষয় কর্নাটক হাইকোর্টের বিচার বিভাগীয় পরীক্ষার অধীনে রয়েছে। আমাদের সাংবিধানিক কাঠামো এবং প্রক্রিয়া, সেই সঙ্গে আমাদের গণতান্ত্রিক নীতি এবং রাজনীতি হল সেই প্রেক্ষাপট, যেখানে সমস্যাগুলি বিবেচনা করা হয় এবং সমাধান করা হয়।"
ভারতের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয় নিয়ে বাইরের কোনও দেশের বক্তব্যকে ভালোভাবে নেবে না ভারত। এপ্রসঙ্গে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেন, ''যারা ভারতকে ভালোভাবে জানেন তারা এই বাস্তবতার বিষয়টি যথাযথভাবে উপলব্ধি করবেন। আমাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে অনুপ্রাণিত মন্তব্য স্বাগত নয়।"
আরও পড়ুন- আদালতের অন্তর্বর্তী নির্দেশের পরেই তৎপরতা, উদুপিতে রুট মার্চ পুলিশের
উল্লেখ্য, হিজাব পরার জন্য কর্ণাটকের উদুপি জেলার একটি কলেজে ছয় পড়ুয়ার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। যা নিয়ে পরবর্তী সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অসন্তোষ ছড়ায়। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কর্নাটকের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় রাজ্য সরকার। বিষয়টি কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারাধীন।
কর্নাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আপাতত ধর্মীয় পোশাক পরে ঢোকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে উচ্চ আদালত। এব্যাপারে চূড়ান্ত শুনানি না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী একটি নির্দেশ দিয়েছে কর্নাটক হাইকোর্ট। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, আপাতত ধর্মীয় কোনও পোশাক পরে স্কুল, কলেজে ঢুকতে পারবেন না ছাত্রছাত্রীরা।
Read story in English
'দেশের অভ্যন্তরীন ইস্যুতে বক্তব্য স্বাগত নয়', আমেরিকাকে কড়া বার্তা ভারতের
হিজাব বিতর্ক নিয়ে কর্নাটক সরকারের সমালোচনা করে মার্কিন প্রশাসন।
Follow Us
দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বাইরের কারও মন্তব্যকে স্বাগত জানাবে না ভারত। আমেরিকাকে কড়া বার্তা বিদেশমন্ত্রকের। সম্প্রতি কর্নাটকের হিজাব বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলে আমেরিকা। হিজাব ইস্যুতে কর্নাটক সরকারের পদক্ষেপের সমালেচানা করেছে মার্কিন প্রশাসন।
মার্কিন প্রশসানের বক্তব্য, ''স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে। মেয়েদের কলঙ্কিত করেছে ওই পদক্ষেপ।'' ভারতের একটি রাজ্যের বিতর্ক নিয়ে আমেরিকার এই মনোভাব ভালোভাবে নেয়নি বিদেশ মন্ত্রক। এব্যাপারে ভারত সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
একটি বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ''কর্নাটকের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পোশাক বিধি সংক্রান্ত একটি বিষয় কর্নাটক হাইকোর্টের বিচার বিভাগীয় পরীক্ষার অধীনে রয়েছে। আমাদের সাংবিধানিক কাঠামো এবং প্রক্রিয়া, সেই সঙ্গে আমাদের গণতান্ত্রিক নীতি এবং রাজনীতি হল সেই প্রেক্ষাপট, যেখানে সমস্যাগুলি বিবেচনা করা হয় এবং সমাধান করা হয়।"
ভারতের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয় নিয়ে বাইরের কোনও দেশের বক্তব্যকে ভালোভাবে নেবে না ভারত। এপ্রসঙ্গে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেন, ''যারা ভারতকে ভালোভাবে জানেন তারা এই বাস্তবতার বিষয়টি যথাযথভাবে উপলব্ধি করবেন। আমাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে অনুপ্রাণিত মন্তব্য স্বাগত নয়।"
আরও পড়ুন- আদালতের অন্তর্বর্তী নির্দেশের পরেই তৎপরতা, উদুপিতে রুট মার্চ পুলিশের
উল্লেখ্য, হিজাব পরার জন্য কর্ণাটকের উদুপি জেলার একটি কলেজে ছয় পড়ুয়ার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। যা নিয়ে পরবর্তী সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অসন্তোষ ছড়ায়। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কর্নাটকের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় রাজ্য সরকার। বিষয়টি কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারাধীন।
কর্নাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আপাতত ধর্মীয় পোশাক পরে ঢোকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে উচ্চ আদালত। এব্যাপারে চূড়ান্ত শুনানি না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী একটি নির্দেশ দিয়েছে কর্নাটক হাইকোর্ট। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, আপাতত ধর্মীয় কোনও পোশাক পরে স্কুল, কলেজে ঢুকতে পারবেন না ছাত্রছাত্রীরা।
Read story in English