'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' এখন দেশজুড়ে আলোড়ণ সৃষ্টি করেছে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী-সবারই মুখে মুখে ফিরছে এই ছবির কথা। ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে রাজনীতিও কম হচ্ছে না। এরই মধ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন মধ্যপ্রদেশের আইএএস অফিসার। তিনি ছবিটি নিয়ে টুইট করে বলেছিলেন, এবার দেশজুড়ে বহু মুসলিম হত্যার উপরও ছবি বানানো হোক। এই মন্তব্য ঘিরেই যত শোরগোল।
মধ্যপ্রদেশের পূর্ত দফতরের যুগ্মসচিব নিয়াজ খান গত সপ্তাহে টুইট করেন, "কাশ্মীর ফাইলস ব্রাহ্মণদের যন্ত্রণা দেখিয়েছে। হিন্দুদের কাশ্মীরে সসম্মানে থাকতে দেওয়া উচিত। নির্মাতার উচিত, দেশের বহু রাজ্যে মুসলিমদের নির্বিচারে হত্যার উপরও ছবি করা।" রবিবার আরও একটি টুইটে ওই আইএএস অফিসার ছবির নির্মাতাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন ১৫০ কোটি টাকা মুনাফা করার জন্য। এরপরই তিনি লেখেন, "অনেকেই কাশ্মীরি ব্রাহ্মণদের আবেগকে অনেক শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাই নির্মাতাদের উচিত ছবি থেকে কামানো টাকার একটা অংশ ব্রাহ্মণ শিশুদের শিক্ষায় দান করা হোক।"
নিয়াজ খানের টুইটের প্রেক্ষিতেই ছবির পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আগামী ২৫ মার্চ সময় চান। রবিবার টুইট করে তিনি লেখেন, "আমরা সাক্ষাৎ করে বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। এবং আপনি আপনার বইয়ের রয়্যালিটি ও আইএএস আধিকারিক হিসাবে আপনার ক্ষমতা দিয়ে অনেক ভাবে সাহায্য করতে পারেন।"
আরও পড়ুন ‘দেশের মুসলিম সমাজের দুঃখ-কষ্ট নিয়েও সিনেমা হোক’, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ইস্যুতে মুখ খুললেন আমলা
প্রসঙ্গত, নিয়াজ খান আটটি বই লিখেছেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন কারণে মুসলিম গণহত্যা নিয়ে বই লেখার কথা ভাবছেন। যাতে সংখ্যালঘুদের দুর্দশার কথা ভারতীয়দের সামনে আনা যায়। খানের এই কথার প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যশিক্ষা মন্ত্রী বিশ্বাস সারাং তাঁর বিরুদ্ধে শ্রেণিতোষণের অভিযোগ এনেছেন। তাঁকে পূর্ত দফতর থেকে সরিয়ে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, "নিয়াজ খান এমন মন্তব্য করে আইএএস সার্ভিসের নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন।" মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আমলার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে কর্মী দফতরে অভিযোগ জানাবেন তিনি। বলেছেন, "ওঁর কোনও অধিকার নেই। যেভাবে তিনি বক্তব্য রাখছেন এবং টুইটার যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। এটা সার্ভিস রুলের বিরুদ্ধে।"