প্রেমের সম্পর্কে ছিল ঘোর আপত্তি। বারবার বারণ করাতেও বাগে আনতে পারেনি মেয়েকে। অবশেষে ভয়ঙ্কর পরিনামে গা শিউরে উঠবে। মধ্যপ্রদেশে দম্পতি খুনে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মোরেনা জেলার চম্বল নদীতে মেরে ফেলে দেওয়া হল মেয়ে ও তার প্রেমিককের দেহ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মেয়েটির পরিবার এই হত্যার সঙ্গে জড়িত। বাবা ও মা মিলে মেয়ে ও তার প্রেমিককে খুন করে দেহ কুমিরের মুখে ফেলে দিয়েছে বলে ভয়ঙ্কর অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারী পাথর দিয়ে প্রথমে দুজনকে হত্যা করে মেয়েটির পরিবার। এর পর তাদের দেহ চম্বল নদীর জলে ফেলে দেওয়া হয়।
মোরেনার এসপি শৈলেন্দ্র সিং চৌহান বলেছেন, 'অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ডুবুরিদের সহায়তায় যুগলের মৃতদেহের উদ্ধারের জন্য জন্য অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। আমরা এখনও দুজনের মধ্যে কারুর দেহ উদ্ধার করতে পারিনি। তদন্ত চলছে'। মোরেনা জেলার আমবাহ থানায় ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ঘটে। মেয়েটির পরিবার বেশ কয়েকজন আত্মীয়ের সঙ্গে দম্পতিকে গুলি করে খুন করে। এরপর পাথর ছুঁড়ে থেঁতলে দেওয়া হয় দুজনের মাথা। অবশেষে দেহ গায়েব করতে দুজনের দেহ'ই নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয় অভিযোগ।
রাজ্য বিপর্যয় প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এসডিআরএফ) দল এবং ডুবুরিদের নদীতে মৃতদেহের সন্ধানে মোতায়েন করেছে। জানা গেছে যে বছর-১৮-এর বয়সী শিবানী তোমার পাশের গ্রামের বালুপুরার বাসিন্দা রাধেশ্যাম তোমারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই পরিবারের আপত্তির ওঠে। গত ৩রা জুন থেকে ছেলে উভয়েই উভয়ই নিখোঁজ ছিল রাধেশ্যাম তোমারের পরিবার থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ছেলেটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের জেরা করেন। জেরার মুখে মেয়েটির বাবা বাবা রাজপাল সিং তোমর এবং বেশ কয়েকজন মহিলা স্বীকার করেন শিবানী এবং রাধেশ্যাম দুজনকেই ৩রা জুন গুলি করে খুন করে দেহ লোপাট করতে চম্বল নদীতে কুমিরের মুখে যুগলের দেহ ফেলে দেওয়া হয়।