কেড়ে নেওয়া হোক তিস্তা শীতলবাদের পদ্মশ্রী পুরস্কার। জোরাল দাবি জানালেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। গত সপ্তাহেই গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন যে, তিস্তা শীতলবাদ গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছিলেন। এরপরই তিস্তাকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাট পুলিশ।
২০০৭ সালে শীতলবাদকে পদ্মশ্রী দিয়ে সম্মানিত করেছিল কেন্দ্র। বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক পদ্ম পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। পদ্মশ্রী তারই অন্যতম। মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রের অভিযোগ, সংখ্যালঘুদের তুষ্টির জন্য শীতলবাদকে পুরস্কৃত করেছিল কংগ্রেস সরকার।
মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহান মন্ত্রিসভার মুখপাত্র তথা মন্ত্রী মিশ্রের কথায়, 'তিস্তা জাভেদ শীতলবাদ পুরস্কার ওয়াপসি গ্যাংয়ের সদস্য। এঁরা কথায় কথায় পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। গুজরাট দাঙ্গার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিকতম মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শীতলবাদের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে এবং তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ধরণের লোকেদের কাছ থেকে তাই পদ্মশ্রীর মতো সম্মান কেড়ে নেওয়া উচিত।'
গত শনিবার শীতলবাদকে তাঁর মুম্বইয়ের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল গুজরাট অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড। পরে তাঁকে আমেদাবাদে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে ক্রাইম ব্রাঞ্চের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আমেদাবাদের একটি আদালত রবিবার ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত নির্দোষ ব্যক্তিদের নাম ফাঁস করার জন্য প্রমাণ জালিয়াতির মামলায় শীতলবাদকে ২রা জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠায়।
তার আগে শুক্রবার, সুপ্রিম কোর্ট ২০০২-এর গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গার মামলায় তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অন্যদের রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্ত দলের দ্বারা দেওয়া ক্লিন চিটকে চ্যালেঞ্জ করে একটি আবেদন খারিজ করে দেয়। শীর্ষ আদালতে এই মামলার আবেদনকারী ছিলেন তিস্তা শীতলবাদের এনজিও এবং জাকিয়া জাফরি। জাকিয়া গুজরাট দাঙ্গায় নিহত কংগ্রেস নেতা এহসান জাফরির স্ত্রী।