/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/03/Ambani.jpg)
রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় নাম জড়াল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের কুখ্যাত জঙ্গি তেহসিন আখতার ওরফে মনুর। তিহার জেলের সেলে বন্দি অবস্থায় সে হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলে তেহসিন আখতারের সেল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মোবাইল ও সিম কার্ড। পুলিশের দাবি, ওই ফোন থেকেই টেলিগ্রাম চ্যানেল ‘জইশ উল হিন্দ’ তৈরি করে এই ঘটনার দায় স্বীকার করা হয়েছিল।
বিশ্বের অন্যতম ধ্বনী শিল্পপতি রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। ২৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাড়ির কাছ থেকে উদ্ধার হয় বোমা। তারপরই সেই ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল জঙ্গি সংগঠন জইশ উল হিন্দ। টেলিগ্রাম চ্যানেলে থেকে দায় স্বীকার করা হয়। গাড়িতে ২০ জিলেন্টিন স্টিক রাখাকে 'শুধুই ট্রেলার' বলে জানায় জঙ্গি সংগঠনটি। তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। ওই ফোনের উৎস খুঁজতে তদন্ত শুরু কে মহারাষ্ট্র পুলিশের সাইবার সেল।
তদন্তে উঠে আসে, তিহার জেল থেকে ওই ম্য়াসেজ করা হয়েছিল। ২৬ ফেব্রুয়ারি চ্যানেলটি খোলা হয় ও ২৭ তারিখ দায় স্বীকার করে হুমকি দেওয়া হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে তিহার জেলে বন্দি ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের কুখ্যাত জঙ্গি তেহসিন আখতারের সঙ্গে ওই টেলিগ্রাম চ্যানেলের যোগসূত্র রয়েছে।
মহারাষ্ট্র পুলিশের ডিসিপি (স্পেশাল সেল) প্রমোদ কুশওহা বলেছেন, 'বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ একটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই ফোন থেকেই টেলিগ্রাম চ্যানেলটি খোলা হয়েছে ও জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার হয়েছে বলে অনুমান। আরও তদন্ত ও ফরেন্সিক পরীক্ষার পরই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে।'
মুম্বই, হায়দ্রাবাদ, বারাণসী নাশকতা সহ ভারতে একাধিক বিস্ফোরণ হামলায় অভিযুক্ত ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের কুখ্যাত জঙ্গি তেহসিন আখতার ওরফে মনু। ২০১৩ সালে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের আরেক প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসিন ভাটকলের গ্রেফতারের পর থেকে তেহসিন আখতারই সংগঠনের প্রধান ছিলেন। তেহসিনকে হেফাজতে নিতে আদালতে দাবি জানাবে এএনআই।
সূত্রে খবর, ওই মোবাইল ফোন তেহসন সহ তিহার জেলের একাধিক বন্দি ব্যাবহার করেছে গত তিন-সাড়ে তিনা মাস ধরে। সব বন্দির উপস্থিতিতেই সেলের মধ্যে চলে তল্লাশি। তখনই উদ্ধার হয় মোবাইলটি। দেখা যাচ্ছে, টোর ব্রাউজারের সাহায্যে ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথমে টেলিগ্রাম চ্যানেলটি খোলা হয়।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন