জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মাধ্যমে বাসিন্দারা কীভাবে উপকৃত হবেন? উপত্যকায় গিয়ে মানুষকে তাই বোঝাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি। মঙ্গলবার শ্রীনগরের সামান্য দূরে হারওয়ানের বিডিও অফিসের বাইরে সভা করেন মন্ত্রী। গ্রাম প্রধান থেকে দিনমজুর, আদিবাসী উন্নয়ন গোষ্ঠীর নেতা, সাধারণ মানুষ সেই সভায় উপস্থিত হন। তারা মন্ত্রীর কাছে রাজ্যের সড়ক যোগাযোগ, ইন্টারনেট পরিষেবা, বিদ্যুৎ ও দিন মজুরদের আর্থিক উন্নয়নের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্র নয়, দেশে প্রয়োজন মিলিটারি শাসনের’, বলেছিলেন কারিয়াপ্পা
অমিত শাহ দিন কয়েক আগেই জানিয়েছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা কাশ্মীরে গিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বিষয়ে প্রচার করবেন। তারপরই এদিন কাশ্মীরে গেলেন নাকভি। কাশ্মীরকে 'স্বর্গ' বলে অভিহিত করে সভায় তিনি বলেন, 'এই স্বর্গের উপর কারোর নজর লেগে গিয়েছে। কখনও দুর্নীতি, আবার অনেক সময় প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়ন ব্যহত হয়েছে। এবার উন্নয়ন প্রয়োজন।' তাঁর সংযোজন, 'কর্মসংস্থান, সড়ক, স্বাস্থ্য পানীয় জল, বিদ্যুতের জন্য বহু বছর ধরে কেন্দ্র কাশ্মীরকে বহু টাকা দিয়েছে। কিন্তু এর সুবিধা ভোগ করেছেন মাত্র কয়েকজন। এবার সেই সুবিধা সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছাবে।' কাশ্মীরের উন্নয়ন মোদী সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় নানা উন্নয়ন প্রকল্প, হজ যাত্রায় ভর্তুকির বিষয় নাকভির কথা উঠে এলেও, ৩৭০ ধারা বিলোপ বা জম্মু-কাশ্মীরকে দু'টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করা নিয়ে কোনও কথা বলেননি মন্ত্রী। রাজ্যের উন্নয়নে স্থানীয়দেরও সমান অংশীদারিত্ব থাকবে বলেও এদিন কাশ্মীরিদের আশ্বস্ত করেন মুক্তার আব্বাস নাকভি।
সভায় উপস্থিত পানজিরার গ্রাম প্রধান আব্দুল গনি মালিক বলেন, 'আমাদের গ্রামে পানীয় জল ও হাসপাতালের প্রয়োজন রয়েছে। বহুবার এই দাবি জানিয়েছি। মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে সেই দাবি আবারও তুলে ধরলাম।' দিনমজুর ফকির গিরজি বলেন, 'রাজ্যের সব নেতারা জেলবন্দি। আমাদের কথা-তো কাউকে জানাতেই হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এসেছেন দিল্লি থেকে। এতে সুবিধাই হবে বলেই মনে করছি।'
আরও পড়ুন: ‘আফজল গুরুকে বলির পাঁঠা করা হয়েছিল কিনা তার তদন্ত হোক’
এদিন উপত্যকায় মালরু সেতু, বন দফতরের কন্ট্রোল রুমের উদ্বোধন, দারায় হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাকভি। মন্ত্রীর এই সফরকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। সে সম্পর্কে অবশ্য মুখ খুলতে রাজি হননি তিনি। জানা গিয়েছে মোট ৮ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সভা করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধার কথা মানুষকে বোঝাবেন।
Read the full story inn English