‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি বিতর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন একদা মমতারই প্রধান সেনাপতি মুকুল রায়। ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে ‘রিঅ্যাক্ট’ করছেন, সে প্রসঙ্গে একসময়ের দলনেত্রীকে ‘খেন্তি বুড়ি’ বলে কটাক্ষ করলেন অধুনা বিজেপি নেতা মুকুল। মুকুল বলেন, ‘‘জয় শ্রী রাম বললে আমার ভাবাবেগকে কেন আঘাত করবে! আমারা ভাবাবেগেই বলি। পাড়ার খেন্তি বুড়ির মতো যদি কেউ আচরণ করে তাহলে কী করা যাবে! পাড়ায় খেন্তি বুড়ি থাকে না, কেউ যদি তাঁকে খেন্তি বলে ডাকে, তবে তিনি গালাগাল দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো একজন মুখ্যমন্ত্রী...’’।
আরও পড়ুন: মমতার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে, ‘গেট ওয়েল সুন’ কার্ড পাঠাবেন বাবুল
উল্লেখ্য, ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি শুনলেই বেজায় চটে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোডে যাওয়ার পথে এই ধ্বনি প্রথমবার শুনে গাড়ি থেকে নেমে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে নৈহাটিতেও। গত সপ্তাহে নৈহাটি এলাকায় মমতার গাড়ির সামনে কয়েকজন ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দেন। এ কথা শোনা মাত্রই গাড়ি থেকে নেমে একেবারে রণংদেহী মেজাজে তেড়ে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। স্লোগানকারীদের দিকে ধাওয়া করার পাশাপাশি প্রকাশ্যে কড়া ভাষায় হুমকিও দিতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন আচরণকে রাতারাতি ‘হাতিয়ার’ করেই আসরে নেমেছে গেরুয়া ব্রিগেড। ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিজেপি ব্যবহার করছে বলে এদিকে তোপ দেগেছেন মমতা। ‘জয় শ্রী রাম’-এর পাল্টা ‘জয়হিন্দ’ বলার ডাকও দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিকে, মমতার বাড়ির ঠিকানায় ‘জয় শ্রী রাম’ লেখা ১০ লক্ষ পোস্ট কার্ড পাঠানোর কথা বলে বিতর্কে রসদ যুগিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।
অন্যদিকে, ইভিএমের বদলে ব্যালট পেপারে ভোট করার দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, ‘‘উনি মুখ্যমন্ত্রীই হয়েছেন ইভিএমে জিতে। ইভিএমেই উনি লোকসভা ভোটও জিতেছেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনেও ইভিএমে জিতেছেন। জিতলে ইভিএম ভাল, আর হারলে খারাপ, এই তত্ত্ব মানুষ আর নিচ্ছে না। মানুষের রায় সাদরে গ্রহণ করাই গণতন্ত্রের শুভ লক্ষ্মণ’’। উল্লেখ্য, সোমবার মমতা বলেন, ‘‘“ভোটের দিন অনেক ইভিএম খারাপ হয়ে গিয়েছিল। নতুন ইভিএমগুলোতে মক পোল করতে দেয়নি। ইভিএম চাই না, ব্যালট ফিরিয়ে দাও, এই দাবিতে আন্দোলন শুরু করা হবে”। এর আগেও তৃণমূলনেত্রী দাবি করেন, ইভিএমে হাই টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে, নাহলে কী করে বিজেপি ৩০০-রও বেশি আসন জিততে পারে!