করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা। হাসপাতালে বেড না থাকায় কেউ অটো, কেউ অ্যাম্বুলেন্সে বসেই অক্সিজেন নিচ্ছেন। এই আবহে হোটেল আর ব্যাঙ্কোয়েট হলকে কোভিড কেয়ার ইউনিট হিসেবে ব্যবহার করছে দিল্লি এবং মুম্বাই। করোনা আক্রান্ত কম আশঙ্কাজনক রোগীদের চিকিৎসা এই কোভিড কেয়ারে ইউনিটে করতে উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। মুম্বাইয়ের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে অভিজাত হোটেলের চুক্তি হয়েছে। সেখানেই অল্প উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া করোনা রোগীদের চিকিৎসা হবে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকদের অনুমতি নিয়ে স্থানান্তরিত করা হবে সেই রোগীদের।
একইভাবে দিল্লির সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো চুক্তিভিত্তিতে অভিজাত হোটেল এবং ব্যাঙ্কোয়েট হল্কে ব্যবহার করতে পারবে কোভিড কেয়ার ইউনিট হিসেবে। সেই মর্মেই হাসপাতালগুলোকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে দিল্লি সরকার।
এদিকে, বাংলায় নতুন বছরের শুরু, কিন্তু আগামী আজ অনেকটাই চিন্তার। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এত বৃদ্ধি পেয়েছে দেশে যে এপ্রিলের ২ তারিখের পর থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হয়ে উঠেছে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে দু’লক্ষেরও বেশি। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা হয়েছে ১৪ লক্ষ ৭১ হাজার ৮৭৭।
দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে করোনায় সুস্থতার হার কমে হয়েছে ৮৯.৫১ শতাংশ।
বুধবার মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হন ৫৮ হাজার ৯৫২ জন৷ আরও ২৮৮ জন আক্রান্তের মৃত্যুর কারণে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ৯৫২জন। স্বাস্থ্য দফতরের মতে, করোনার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি এবং উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায়, বুধবার সন্ধে ৮ টা থেকে ১৫ দিনের জন্য কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে মহারাষ্ট্রে৷
বুধবার বিহারে করোনার ভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এই নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ১৬৫১জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ লাখ ৫ হাজার ১৭১ জন।