কখন যে কার ভাগ্য কিসে খোলে বলা মুশকিল। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দৈনিক মাছ ধরতে পাড়ি দেন মাঝ সমুদ্রে। জালে নিয়মিত যা ধরা পড়ে, মোটামুটি সেই রোজগারে দিন কেটে যায় দুই জেলে ভাইয়ের। মহারাষ্ট্রের দুই ভাই, মহেশ মেহের এবং ভারত, শুক্রবার তাঁদের নৌকা সাঈ লক্ষ্মীতে সমুদ্রে যান মাছ ধরতে। সেদিন মাছ সমেত নেটের ওজন হয় প্রায় ৩০ কেজি। তবে তাতে যে সোনা লুকোনো আছে তা টের পাননি তাঁরা। ফিরে এসে জাল খুলতেই চোখে পড়ে ঘোল মাছ। ভারতের বাজারে যার দর ৫.৫ লক্ষ টাকা! মুম্বাই-পাল্লার সমুদ্র উপকূলে সেই মাছ বিক্রি করেন তাঁরা। কিন্তু এত কেন দাম উঠল এই মাছের ?
ঔষধি বৈশিষ্ট্য রয়েছে জালে ধরা পড়া মাছটির মধ্যে। পূর্ব এশিয়ায় এর দর আরও অনেক বেশি। এলাকার ভিত্তিতে মাছটির বিভিন্ন নাম হলেও এর বিজ্ঞান সম্মত নাম ব্ল্যাক স্পটেড ক্রকার। আইওডিন, ওমেগা -3, ডিএইচএ, ইপিএ, লোহা, টৌরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফ্লোরাইড, সেলেনিয়ামের মত নানা উপকারি জিনিস পাওয়া যায় মাছটি থেকে।
ঘোল মাছের উপকারিতা কী কী ?
এই মাছে অনেক ভিটামিন আছে, আর আছে সমুদ্রের খনিজ পদার্থ সহ প্রোটিন। যা দৃষ্টিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করবে।
মাছের মধ্যে কোলাজেন থাকার কারণে এটি ত্বক কুঁচকে যাওয়াকে প্রতিরোধ করে এবং ত্বকের স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।
ওমেগা-3 নিয়মিত ভাবে খেলে তা আইকিউ উন্নত করে - যা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে আরও উত্তেজিত করবে।
ব্ল্যাক স্পটেড ক্রকার মাছটির মধ্যে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন থাকার কারণে পেশী শক্তপোক্ত করার পক্ষে উপকারী। এটি কোলাজেন এবং ইলাস্টিন সংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি প্রদান করে যা পেশীকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে সহায়তা করে।