ইতিমধ্যেই ত্রাসে পরিণত হয়েছে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। ভারতেও এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। তাই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে সংক্রমণ ঠেকাতে মরিয়া বৃহন্মুম্বই পুরনিগম। ঝুঁকিবহুল দেশ থেকে আসা যাত্রীদের হোন কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করল এই পুরনিগম। জারি করা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টিনের নয়া নির্দেশিকা।
নয়া কোয়ারেন্টিন নির্দেশিকা ঠিক মতো কার্যকর হচ্ছে কিনা তা নজরদারির জন্য বড় বড় আবাসনগুলিকেও চিঠি দিয়েছে পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। নিয়ম ভাঙলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও মহামারি আইনের আওতায় তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের কমিশনার ইকবাল সিং চাহাল বলেছেন, 'সংক্রমণ রুখতেই এইধরণের পদক্ষেপ করা হয়েছে। ঝুঁকিবহুল দেশ থেকে মুম্বইতে আসা যাত্রীদের নজরদারিতে খুব উপযুক্ত একটি পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন হিসাবেই নয়া নির্দেশিকায় উল্লেখ কোয়ারেন্টিন পদ্ধতি কার্যকর হবে।'
নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, মুম্বই ইন্টারন্যাশনাল ওয়ারপোর্ট অথরিটি লিমিটেড প্রত্যেকদিন একটি তালিকা দেবে। যেখানে ওমিক্রনের ঝুঁকিবহুল ও অতিরিক্ত ঝুঁকিবহল দেশ থেকে আসা যাত্রীদের নাম ও ঠিকানা জানানো হবে। এছাড়া, তালিকায় থাকবে ওই সব দেশ থেকে গত ১৫ দিনে কারা কারা মুম্বইতে নেমেছেন সেসব যাত্রীদের নামও।
এই তালিকা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী যাত্রীদের ঠিকানার ভিত্তিতে বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের ২৪টি প্রশাসনিক ওয়ার্ডে জানাবে। এরপর ওয়ার্ড ওয়ার-রুম যাত্রীদের খুঁজে বার করা ও নজরদারির কাজ করবে।
পুরনিগমের এক আধিকারিকের কথায়, 'ওয়ার্ড ওয়ার-রুমের কর্মীরা যাত্রীদের দিনে পাঁচবার ফোন করে খোঁজখবর নেবে। কোনওউপসর্গ রয়েছে কিনা তা জানবে। যাত্রীদের হোন কোয়ারেন্টিনে অন্তত সাত দিন থাকার অনুরোধ করবেন। ঠিকমতো নিয়ম পালন হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য শশরীরেও পুরকর্মীরা যাত্রীদের কাছে পৌঁছবেন।' কেউ নিয়ম ভাঙলে যেকেউ তা ওয়ার-রুমেও জানাতে পারেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
হোম কোয়ারেন্টিনের সাত দিনের মাথায় ঝুঁকিবহুল দেশ থেকে আগত ব্যক্তিকে আরটিপিসিআর টেস্ট করতে বলবেন পুর আধিকারিকরা। এই পরীক্ষার ফল পজিটিভ এলে সংক্রমিতকে সঙ্গে সঙ্গে পুরসভার নিজস্ব কোয়ারেন্টিন সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হবে। চলবে চিকিৎসা।
পুরনিগনের পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী এখনও পর্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিবহুল দেশ থেকে মুম্বইতে আসা ১৪ জন পজিটিভ। তাঁদের নমুনা জেনম সিকোয়িন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। এতেই বোঝা যাবে যে ওই যাত্রীরা ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন