দক্ষিণ মুম্বইয়ে জঙ্গি ইয়াকুব মেমনের কবরস্থানের চারপাশ থেকে এলইডি লাইট সরাল মুম্বই পুলিশ। দক্ষিণ মুম্বইয়ের বড় কবরস্থানে শাসিত রয়েছে ইয়াকুবের দেহ। তার চারপাশে এলইডি লাইট বসানো ছিল। সেই লাইটই বৃহস্পতিবার সকালে মুম্বই পুলিশ সরিয়ে দিয়েছে। ইয়াকুবের কবরস্থানে সৌন্দর্যায়ন হয়েছিল। বসানো হয়েছিল মার্বেলের টাইলস, হ্যালোজেন এবং এলইডি লাইট।
এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র বিতর্ক ছড়ায়। তারপরই বিতর্ক রুখতে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিল মুম্বই পুলিশ। গত মার্চে এই সৌন্দর্যায়নের কাজ হয়েছিল। বড় কবরস্থানে ইয়াকুবের পাশাপাশিই রয়েছে তার পরিবারের আরও ১৪ সদস্যের দেহ। সেই চত্বরেই সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছিল।
এই ব্যাপারে মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, 'অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিই। জানা গিয়েছে যে এই কবরস্থান সংস্কারের কাজ হয়েছিল তিন বছর আগে। ওই সময়ই মার্বেল বসানো হয়েছিল। তাই দিয়ে কবরস্থানটা ঘিরে দেওয়া হয়। আর, এই হ্যালোজেন এবং এলইডি লাগানোর ঘটনাটা গত মার্চে বড় রাতের সময় ঘটেছে।'
আরও পড়ুন- জলে ডুবে বেঙ্গালুরু, আয়েশ করে ধোসা খাচ্ছেন বিজেপি সাংসদ তেজস্বী, তুঙ্গে বিতর্ক
অবশ্য এতদিন বিষয়টি চাপাই ছিল। বুধবার আচমকাই এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। আর, তারপরই শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। একজন জঙ্গির কবরস্থান সংস্কার নিয়ে প্রশাসনের এত উৎসাহ কেন? এই প্রশ্ন ঘিরে শুরু হয় তীব্র চাপানউতোর। তারপরই বৃহস্পতিবার সকালে মুম্বই পুলিশ ওই কবরস্থানে যায়। ইয়াকুব মেমনের কবরস্থানের চারপাশ থেকে এলইডি বাতি সরিয়ে নেয়।
১৯৯৩ সালে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল মুম্বই। সেই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত এই ইয়াকুব মেমন। ২০১৫ সালের ৩০ জুলাই, নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে ইয়াকুবকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তার ভাই টাইগার মেমন এই বিস্ফোরণ-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত। টাইগার অবশ্য এখনও পর্যন্ত মুম্বই পুলিশের হাতে ধরা পড়েনি। তদন্তকারীরা তার খোঁজ চালাচ্ছেন। এই মামলায় অন্য অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম, তার ভাই আনিস ইব্রাহিম-সহ অন্যান্যরা।
Read full story in English