টিআরপি দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মোড়। রিপাবলিক টিভির মুখ্য সম্পাদক অর্ণব গোস্বামী এবং রেটিং সংস্থা বার্কের প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তের মধ্যে হোয়াসট্অ্যাপে কথোপকথনের স্ট্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।
হোয়াটস্অ্যাপে পার্থ দাশগুপ্তর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নেতা–মন্ত্রী সহ প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গ বারবার টেনেছেন অর্ণব গোস্বামী। চ্যাট মেসেজে দেখা যাচ্ছে, বার্কের গোপন নথি, চিঠিপত্র অর্ণবকে পাঠিয়েছিলেন পার্থ দাশগুপ্ত। তা নিয়ে জলঘোলা হতেই রিপাবলিকের সম্পাদকের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন প্রাক্তন বার্ক সিইও। আশ্বাসও দিয়েছিলেন অর্ণব, বলেছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন এ ব্যাপারে।
কিছু মেসেজে দেখা গেছে, ট্রাই–এর নতুন সংস্কারের কথা অর্ণবকে জানাচ্ছেন পার্থ দাশগুপ্ত। ওই সংস্কার আনা হলে রিপাবলিক টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি বিজেপিরও বিরাট ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ট্রাই যাতে কোনওভাবেই সেই সংস্কার আনতে না পারে, তার জন্য অর্ণবকে বারবার প্রভাব খাটাতে বলেছেন তিনি।
অর্ণব ও পার্থ দাশগুপ্তের মধ্যে হোয়াসট্অ্যাপে কথোপকথনের কয়েকটি স্ট্রিনশট তুলে ধরে টুইটারে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, ‘এঁদের কথোপকথনে অনেক চক্রান্তের প্রমাণ হাতেনাতে পাওয়া যাচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে, এই সরকারের সঙ্গে তাঁদের যোগ ঠিক কতটা এবং কীভাবে নিজের পদকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে! যে দেশে আইনের শাসন রয়েছে, সে দেশে এই ঘটনা ঘটলে দীর্ঘ সময়ের জন্য হাজতবাস হত তাঁর (অর্ণব)।’
সাংবাদিক প্রশান্ত কানোজিয়া টুইটারে লেখেন, ‘এই দেশ–বিরোধী গোস্বামী শুধু একজন টিআরপি জঙ্গিই নন, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। গোটা দেশ জানতে চায়, এখন কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন এই টিআরপি জঙ্গি?’
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন