/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/05/ie-Somaiya-Principal.jpeg)
শেখ যে সোমাইয়া স্কুলের সাথে 12 বছরের সম্পর্ক ছিল এবং সাত বছর আগে এর অধ্যক্ষ হয়েছিলেন (এক্সপ্রেস ছবি)
হামাস-ইজরায়েল সংঘাতের বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জেরে বরখাস্ত নামী স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল। গোটা ঘটনায় রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ।
হামাসের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য বড় মাশুল গুনতে হল মুম্বইয়ের সোমাইয়া স্কুলের অধ্যক্ষ পারভীন শেখকে।স্কুলের অধ্যক্ষ পারভীন শেখ দিন কয়েক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে হামাসের সমর্থনে সুর চড়ান। এর পরই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে গোটা ঘটনার জেরে পদত্যাগ করতে বললেও তিনি পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেন। এরপরই মঙ্গলবার তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এরপর স্কুলের প্রিন্সিপ্যালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাকে অধ্যক্ষের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শনিবার তার কাছে ব্যাখ্যা চায় ম্যানেজমেন্ট কমিটি। এরপরই মঙ্গলবার তাকে বরখাস্ত করা হয়। উল্লেখ্য, তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের পরই সমালোচনার ঝড় উঠে নানান মহলে। তিনি গোটা বিষয়কে "রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত" বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে এই ঘটনার পর হতাশা প্রকাশ করে পারভীন শেখ একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, সোমাইয়া স্কুলের ১২ বছরের সম্পর্ক। সাত বছর আগে অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পাই। তা আমি যথাযথ ভাবে পালনের চেষ্টা করেছি। ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে বহিষ্কারের খবর পাওয়ার আগেও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আমার বহিষ্কারের খবর জেনে আমি অবাক! এটি সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অন্যায়।"
তিনি আরও বলেন, 'আমাকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। আইনি পথে হাঁটতে আমি বাধ্য হব'। স্কুলের এই সিদ্ধান্তে তিনি বলেন, 'একদশকের বেশি সময় ধরে স্কুলের উন্নতির জন্য কাজ করে গিয়েছি। নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে আমি হতাশ'।