Advertisment

দুরন্ত গতির বুলেট ট্রেনের ভাড়া হতে পারে তিন হাজার টাকা

মুম্বই-আহমেদাবাদ রুটের এই বুলেট ট্রেনের ভাড়া হতে পারে মাথাপিছু প্রায় তিন হাজার টাকা, বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচএসআরসিএল)-এর তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
mumbai ahmedabad bullet train fare

বুলেট ট্রেনের ভাড়া হতে পারে তিন হাজার টাকা। প্রতীকী ছবি

নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের প্রজেক্ট বুলেট ট্রেনের অগ্রগতি পেরলো আরও এক ধাপ। মুম্বই-আহমেদাবাদ রুটের এই বুলেট ট্রেনের ভাড়া হতে পারে মাথাপিছু প্রায় তিন হাজার টাকা, বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচএসআরসিএল)-এর তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। তবে এই 'স্বপ্নের প্রকল্পের' জন্য এখনও বাকি জমি অধিগ্রহণের কাজ। জানা যাচ্ছে, মুম্বই-আহমেদাবাদ হাই স্পিড রেল করিডোরের (বুলেট ট্রেন প্রজেক্ট) জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল মোট ১,৩৮০ হেক্টর জমি। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত আপাতত ৬২২ হেক্টর জমি, অর্থাৎ মোট জমির ৪৫ শতাংশ, কাজে লাগানো গিয়েছে।

Advertisment

আরও পড়ুন, নিম্মচাপের জের! বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভিজতে পারে মহানগরী

সূত্রের খবর, গুজরাত থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত এই এলাকায় ১,৩৮০ হেক্টর জায়গার মধ্যে সরকারি, বেসরকারি, বনভূমি এবং রেলওয়ের জায়গাও রয়েছে। এনএইচএসআরসিএল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অচল খাড়ে জানিয়েছেন, "এখনও পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ জমি কাজে লাগানো গিয়েছে, তবে আমরা ২০২৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার ডেডলাইন ধরেই এগিয়ে যাচ্ছি।" তিনি আরও বলেন, "কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর বুলেট ট্রেনের যাওয়া-আসা মিলিয়ে মোট ৭০টি ট্রিপ হবে। সকাল ৬টা থেকে ১২টা অবধি। টিকিটের মূল্য হতে পারে ৩,০০০ টাকার কাছাকাছি"।

আরও পড়ুন, বামেদের নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র হাওড়ার মল্লিকফটক

কর্তৃপক্ষের তরফে আরও জানানো হয়েছে, কাজ শুরু হবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে, সমাপ্ত হয়েছে টেন্ডার প্রক্রিয়াও। বুলেট ট্রেন করিডোরের জন্য ভাপি থেকে বদোদরা পর্যন্ত ২৩৭ কিলোমিটার এবং বদোদরা থেকে আহমেদাবাদ ৮৭ কিলোমিটারের নির্মাণ কার্য শুরু হয়ে গিয়েছে। খাড়ে বলেন, "আমরা ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ প্রজেক্টটিকে ২৭টি প্যাকেজে ভাগ করে নিয়েছি। মহারাষ্ট্রে সমুদ্রের নীচ দিয়ে টানেল তৈরি করার জন্য টেন্ডার ডাকার কাজও শেষ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে এজেন্সির হাতে আমরা প্রজেক্টটি তুলে দিতে সক্ষম হব। পুরো প্রকল্পটির জন্য আনুমানিক ব্যয় হবে ১.০৮ লক্ষ কোটি টাকা এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার চেষ্টা চলছে।"

আরও পড়ুন, বৃষ্টি থামলেই শুরু হবে কলকাতার রাস্তা মেরামতির কাজ

তবে প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ প্রসঙ্গে এনএইচএসআরসিএল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টরের মন্তব্য, কৃষকরা তাঁদের জমি দেওয়ার বিরোধী নন। তাঁর কথায়, "৫,৩০০টি প্লট অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ২,৬০০ টি প্লট অধিগ্রহণ করা হয়ে গিয়েছে। গুজরাতের কৃষকরাও এই প্রকল্পের বিরোধী নন। এমনকি সরকার কর্তৃক জমির নির্ধারিত যে হার, তা পুনর্মূল্যায়ন করেই কৃষকদের প্রাপ্য টাকা দেওয়া হবে।" তবে এই কারণে যে প্রকল্পের কোনও বিলম্ব হবে না, সে ব্যাপারে আস্থা প্রকাশ করেছেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর।

Read the full story in English

narendra modi Bullet train
Advertisment