মুম্বইয়ে শ্রদ্ধা হত্যার ঘটনা সারা দেশকে নাড়া দিয়েছিল। ফের মুম্বই সাক্ষী থাকলো এক নৃশংস ঘটনার। মেয়ের হাতে খুন মা। চারমাস ধরেই দেহ বাড়িতেই টুকরো টুকরো করে আগলে রেখেছিলেন বছর ২৪-এর মেয়ে রিম্পল জৈন। এমন ঘটনার কথা আঁতকে উঠেছেন তামাম দেশবাসী।
৫৫ বছর বয়সী মা বীনা জৈনকে চার মাস আগেই খুন করেন মে। এরপর তিনি মৃতদেহটিকে কয়েক টুকরো করেন। মাথা ও দেহ আলাদা করে প্লাস্টিকে মুড়ে সযন্তে তুলে রাখেন আলমারিতে। হাত ও পা ঘরের একটি স্টিলের ট্যাঙ্কের ভিতর রাখা হয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে ডিসিপি প্রবীণ মুন্ডে জানিয়েছেন, পুলিশ রিম্পলকে গ্রেফতার করেছে। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বৈদ্যুতিক মার্বেল কাটার, কাস্তে এবং একটি ছুরি।
একজন পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন যে রিম্পলের দুটি ‘বয়ফ্রেন্ড’ ছিল। দুজনের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতেন তিনি। এ নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো তার। এ কারণেই রিম্পল তার মাকে খুন করেছে। খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করতে বৈদ্যুতিক মার্বেল কাটার, কাস্তে এবং একটি ছুরি ব্যবহার করে রিম্পল। প্রতিবেশীদের সন্দেহ যাতে না হয় তার জন্য পচা গন্ধ দূর করার জন্য রুম ফ্রেশনার, ফিনাইল এবং চা পাউডারও ব্যবহার করেছিল গুণধর মেয়ে"।
রিম্পল পুলিশকে জানান, ২৭ ডিসেম্বর বাড়ির সিঁড়ি থেকে পড়ে তার মা আহত হন। তারপর দুই ব্যক্তির সাহায্যে মাকে দোতলার ঘরে তোলেন। রিম্পল জানান, সেদিন পর্যন্ত মা বেঁচে ছিলেন। পরে তিনি মারা যান। এ বিষয়ে পুলিশ রিম্পলকে প্রশ্ন করায় রিম্পল দাবি করে মায়ের মৃত্যুর ঘটনার প্রসঙ্গে সকলে তাকেই দোষী করবে তাই মায়ের দেহ টুকরো করে তা লোপাট করতে চেয়েছিলেন তিনি।
ইতিমধ্যেই পুলিশ তার এক বয়ফ্রেন্ডকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সে পুলিশকে বলেছে যে, যখন সেই তার প্রেমিকার বাড়িতে আসত রিম্পল ঘরে রুম ফ্রেশনার স্প্রে করত। তার অন্য প্রেমিক পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।